সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়বে সরকার
Published: 23rd, January 2025 GMT
সুকুক বন্ড ইস্যু করে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে সরকার। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সেতু নির্মাণের অর্থের জন্য আগামী মার্চে এই বন্ড ছাড়বে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ নামে এই সুকুক বন্ডের অর্থ দিয়ে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে।
আরো পড়ুন:
লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দুদকের অভিযান: সুরের বাসা থেকে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুকুকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এই সুকুক বন্ডের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বিমা প্রতিষ্ঠানকে ৭০ শতাংশ এবং কনভেনশনাল ব্যাংকের ইসলামিক শাখা ও উইন্ডোর অনুকূলে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা সুকুক বন্ডের ২০ শতাংশ কিনতে পারবে।
তবে এ তিন শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে তাদের মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। প্রবাসী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে কার্যরত যে কোনো ব্যাংকে তার ও তাদের নামে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব অথবা টাকা হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। এই বন্ডের মুনাফা, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সম্মেলন বাতিল চেয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিল
হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিল চেয়ে দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর বাজারে সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবিএম জহির উদ্দিন সোহেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সাত্তার, নূরে আলম এরশাদ প্রমুখ। রোববার গোবিন্দপুর বাজারে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেল ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের লোক নিয়ে সাজানো সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। এটা দলের নেতাকর্মীরা মানে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে করা কাউন্সিলের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীকে স্থান দিতে হবে।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম হিমেল বলেন, সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি। মিছিল করেছে যুবদল। তাদের কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার নেই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল করার।
এ প্রসঙ্গে সিরাজ উদ্দিনের ভাষ্য, কথাটা ঠিক নয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি নেতা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা বক্তব্যও দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।