সালমান এফ রহমান ও পরিবারের ৫৯ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ
Published: 23rd, January 2025 GMT
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ছেলে শায়ান ফজলুর রহমান, ভাই এ এস এফ রহমানের নামে থাকা এক হাজার ৯৬৭ শতাংশ বা ৫৯ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব স্থাবর সম্পদের বাজার মূল্য ৯ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত গত ১৩ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরার ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান
তিনি বলেন, “গত ১৩ জানুয়ারি এসব স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব সম্পদের দেখভালে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।”
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সালমান এফ রহমান, তার ছেলে শায়ান ফজলুর রহমান, সালমান এফ রহমানের ভাই এ এস এফ রহমানের নামে থাকা ৬৮টি স্থাবর সম্পদ জব্দ চেয়ে আবেদন করে সিআইডি। আদালত শুনানি নিয়ে এসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
এসব সম্পদের মধ্যে অন্তত ৬০টি সম্পদ শায়ান ফজলুর রহমানের নামে নিবন্ধিত। সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের নামে থাকা যেসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো দোহার এলাকায় অবস্থিত।
ঢাকা/মামুন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রহম ন র এসব স
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’