সম্মেলনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মুক্তমঞ্চে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে দলের একটি অংশ এ কর্মসূচি পালন করে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আলী হাসান, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নবীর হোসেন, সদস্য সচিব এনামুল কবির চন্দন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইদুজ্জামান আমল, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুর রহমান বাচ্চু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
পৌর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আলী হাসান বলেন, ১৭ বছর মাঠে থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু ১৮ জানুয়ারি সম্মেলনে আমাকে কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজস্ব প্রার্থীকে জয়ী করতে ভোট প্রতি কাউন্সিলরদের পাঁচ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। দুর্নীতিবাজ এ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির সম্মেলন সফল হবে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, 
নির্বাচনে হেরে একটি পক্ষ আবোলতোবল বকছে। বরং তারা ১৭ বছর কোথায় ছিলেন, আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ভূমিকা কী ছিল, বিএনপির সবাই তা জানে। এসব করে দলের ক্ষতি বা সম্মেলন ব্যাহত করা যাবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ র দ ব

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ