চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা
Published: 23rd, January 2025 GMT
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা ছুঁইছুঁই। জেঁকে বসেছে শীত। মাঝেমধ্যে ভেসে আসছে বাঁশির শব্দ। দেখা গেল আটজন নানা বয়সী লোক লাঠি, চার্জার লাইট নিয়ে ঘুরছেন। গলায় ঝুলছে বাঁশি। বুধবার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া বাজার, ঘোষপাড়া ও স্কুলপাড়া ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
তারা জানান, ৫ আগস্টের পরে পুলিশের তৎপরতা কমে গেছে। এ সুযোগে এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তাদের প্রতিরোধে ১১০ পরিবার থেকে ১৬ জন কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে রাতে পাহারা দিচ্ছেন। ১৭ জানুয়ারি থেকে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
থানাসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত কুমারখালী থানায় ৬২টি চুরি, ডাকাতি ও দস্যুতার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাতটি চুরি, দুটি দস্যুতা, একটি ডাকাতির ঘটনা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। এসব মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে জানিয়েছেন কুমারখালী নাগরিক কমিটির সদস্য কে এম আর শাহিন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, চুরির ঘটনা ঘটার পর থানায় জানানো হয়। তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। কিন্তু জড়িতদের ধরতে পারে না। পুলিশের উদাসীনতায় গ্রামে চুরি-ডাকাতি বাড়ছে বলে মনে করেন তারা।
সরেজমিন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি ঘোষপাড়া এলাকার বিমল ঘোষের বাড়ির জানালা দিয়ে চেতনানাশক স্প্রে করে দুর্বৃত্তরা। সবাই অচেতন হয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে নগদ এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। একই রাতে কয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে ৮-১০ জন ডাকাত। স্থানীয়রা টের পেলে তারা দ্রুত চলে যায়। ২৭ ডিসেম্বর কয়া স্কুলপাড়ার আবদুল মজিদের বাড়ির দরজা ভেঙে চার-পাঁচজন ডাকাত প্রবেশ করে। তারা সবাইকে জিম্মি করে ৪৫ হাজার টাকা এবং সাত-আট ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
কয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম
আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন বলেন, ডাকাত ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে রাত জেগে পাহারার
ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকেই
ব্যবস্থা নিতে হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, কিছু ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। অনেক ভুক্তভোগী পরে মামলা করতে আগ্রহ দেখায়নি। এরপরও কয়েকটি মামলা হয়েছে। ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ