বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৮৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ৭৩ জনকে বহিষ্কারের কথা জানান উপ-উপাচার্য। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোট ৮৪ জনের বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক ড.

কামাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হামলা ও আহত করা এবং শাটল ট্রেনে আটকে রাখার অভিযোগে ৭৩ জনকে এবং সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে ১১ জনকে প্রাথমিক বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সমিতির অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এই ৮৪ জনের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তাদের বিভাগ ও স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হবে।’
 
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করার জন্য তাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে।’

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে উপ-উপাচার্য ৭৩ জনের বহিষ্কারাদেশের কথা জানান। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলগুলোর প্রভোস্ট, বিভিন্ন পর্ষদের পরিচালক ও প্রশাসকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্তকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে রূপগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ইসরাইলের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করা হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ্, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বে আজ সবচেয়ে নিগৃহীত ফিলিস্তিনবাসী। নবজাতক ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদেরকেও আজ ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।

আহত হয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শত শত মানুষ। আহতদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব মানবতার আর চুপ থাকা উচিত নয়।

এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেক ফিলিস্তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাইকে দোয়ার করার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত- এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।

পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। মানববন্ধন শেষে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরেফিন সিদ্দিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে  ছিলেন
  • মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বাস চাপায় অটোরিকশা উল্টে আহত ৬
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বাস চাপায় অটোরিকশা উলটে আহত ৬
  • আবুল কাশেম স্মরণে সভা
  • রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির