আগের ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় পা মচকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রায়ান বার্ল। চোখে মুখে তার অস্বস্তি ফুটে উঠেছিল প্রবলভাবে। তবে চোট গুরুতর হয়নি। দুইদিনের বিরতির পর আজ মাঠে ফেরেন।

দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বিপিএল খেলতে আসা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারের সময়টা খারাপ কাটছে না। নিজের মূল কাজ ব্যাটিংয়ে রাখছিলেন অবদান। চল্লিশোর্ধ ইনিংস আছে তিনটি। ফিফটি আছে একটি। বল হাতে অলরাউন্ড নৈপূণ্যের স্বাক্ষর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। শেষ তিন ম্যাচে নিয়মিত বোলিং করলেও উইকেট পাচ্ছিলেন না। সব মিলিয়ে আগের নয় ম্যাচে মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন লেগ স্পিনার।

তবে নিজের বোলিং কারিশমা আজ দেখালেন বল হাতে। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে স্পিন ঘূর্ণিতে নীল করলেন রংপুর রাইডার্সকে। বিপিএলে যারা আট ম্যাচ হারেনি তারাই বার্লের ঘূর্ণিতে পরাস্ত। মাহেদী হাসান, নুরুল হাসান সোহান, আকিফ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের উইকেট নিয়ে রংপুরের ব্যাটিং অর্ডারের লেজটা কাটেন লেগ স্পিনার।

আরো পড়ুন:

২ ওভারে ৩৯, বাকি ১৮ ওভারে ১১৩!

ফারুকের হাতে রাজশাহীর ‘৬৮ লাখের’ চেক, বোনাস ১৪ লাখ

নিজের ব‌্যাটিং ছায়া থেকে বেরিয়ে বল হাতে কারিশমা দেখিয়ে ম‌্যাচ জেতানোয় যারপরনাই খুশি বার্ল। ম‌্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বার্ল বলেছেন, ‘‘শূন্যরানে আউট হওয়া অবশ্যই হতাশাজনক। তবে অলরাউন্ডার হওয়ার সৌন্দর্য্য এটাই। খেলাটির অন্য দিক দিয়েও অবদান রাখা যায়। সেটি করতে পারায় খুব খুশি।”

টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নিয়ে বার্ল যোগ করেন, ‘‘আমি আসলে গতির বৈচিত্র কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিলাম। খেয়াল করলে দেখবেন, ওরা লেগ স্পিন ডেলিভারিগুলো বড় শটের তেমন চেষ্টা করেনি। জোরের ওপর করা বলগুলো মারার চেষ্টা করেছে, সেখান থেকেই উইকেট পেয়েছি।”

নিজেদের চতুর্থ জয় রাজশাহী পেয়েছে টেবিল টপার রংপুরের বিপক্ষে। সেই জয়ে বার্ল ম‌্যাচসেরা হওয়াতে আনন্দটা দ্বিগুণ তার, ‘‘খুবই আনন্দময় অনুভূতি। টুর্নামেন্টের এক নম্বর দলের বিপক্ষে জেতায় তৃপ্তি একটু বেশি। তারা দারুণ ছন্দে ছিল, ক্রিকেটাররা ভালো ফর্মে ছিল। আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াইয়ের মতো ছিল। এখন প্লে’অফ খেলার চেষ্টা করব।”

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে পানির দাবিতে পৌরসভা ঘেরাও, বিক্ষোভ

ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ সময় মিলছে না পৌরসভার সরবরাহ করা পানি। দুই বছর ধরে চরম দুর্ভোগে আছেন এই ওয়ার্ডের ১৫ হাজার বাসিন্দা। পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের দাবিতে পৌরসভা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন তারা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শত শত নারী- পুরুষ পৌরসভা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা এক ঘণ্টা ধরে ভবন ঘেরাও করে রাখেন। পরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। 

৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি, লঞ্চঘাট, কলাবাগান, পৌর খেয়া ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মিলছে না পৌরসভার সরবরাহ করা পানি। প্রায় দুই বছর ধরে দিনের বেশিরভাগ সময়ই পানি পাচ্ছেন না এসব এলাকার বাসিন্দারা। গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হওয়ার পর পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। খাওয়া, গোসল, রান্নার কাজে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পাম্প নষ্ট হওয়া ও নাজুক সরবরাহ ব্যবস্থার অজুহাত দিয়ে নিজেদের গাফিলতি আড়াল করছে কর্তৃপক্ষ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা আনিস হাওলাদার, কাঠপট্টি এলাকার মিলন মৃধা, লিজা আক্তার ও পারভিন বেগম। 

ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখার দায়িত্বে) কামরুল হাসান বলেন, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের জন্য সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান করা হবে। 

ঢাকা/অলোক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ