চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় জঙ্গলে পোড়ানো এক নারীর অর্ধগলিত লাশের উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে। পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে সেই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে এখনো পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় ও হত্যারহস্য উন্মোচন করা যায়নি বলে সমকালকে জানান মামলার বাদী এসআই উনুমং মারমা এবং তদন্ত কর্মকর্তা সেকেন্ড অফিসার নাজমুল। এ ঘটনার রহস্য খুব শীঘ্রই বের করা হবে বলে জানান তারা।

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাক সমকালকে বলেন, এখনো নারীর পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে অজ্ঞাত সেই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জঙ্গলে পোড়ানো অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ দেখে স্থানীয়রা সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ