খুলনার দিঘলিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মন্টু গাছি (৩৮) নামে এক ব্যক্তির দুই চোখ তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।  

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার চন্দনিহল গ্রামের কাটাবন মালোপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শাহীন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‍“আধিপত্য ও চাঁদা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জেরে আজকের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।”

আরো পড়ুন:

সাঙ্গু নদীতে চলছে অবাধে বালু উত্তোলন

লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

ওসি এইচ এম শাহীন জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে মন্টু গাছি চন্দনীমহল কাটাবন এলাকার জনৈক নারদের চায়ের দোকানে যান। কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে প্রবেশ করেন সরফরাজ হোসেন। এ সময় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সরফরাজের নেতৃত্বে নুরুদ্দিন ও বাবরসহ ৭-৮ জন মন্টুর ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে তার দুই চোখ তুলে ফেলেন। 

পরে স্থানীয় লোকজন মন্টু গাছিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের আত্মা শুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।

আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।

আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ