খুলনায় প্রতিপক্ষের ২ চোখ তুলে ফেলার অভিযোগ
Published: 23rd, January 2025 GMT
খুলনার দিঘলিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মন্টু গাছি (৩৮) নামে এক ব্যক্তির দুই চোখ তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার চন্দনিহল গ্রামের কাটাবন মালোপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শাহীন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আধিপত্য ও চাঁদা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জেরে আজকের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।”
আরো পড়ুন:
সাঙ্গু নদীতে চলছে অবাধে বালু উত্তোলন
লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ
ওসি এইচ এম শাহীন জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে মন্টু গাছি চন্দনীমহল কাটাবন এলাকার জনৈক নারদের চায়ের দোকানে যান। কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে প্রবেশ করেন সরফরাজ হোসেন। এ সময় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সরফরাজের নেতৃত্বে নুরুদ্দিন ও বাবরসহ ৭-৮ জন মন্টুর ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে তার দুই চোখ তুলে ফেলেন।
পরে স্থানীয় লোকজন মন্টু গাছিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে: আমির খসরু
‘নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে’। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতিত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি দায়বদ্ধ সরকার গঠন করা। যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে তারাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সোমবার জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু চৌধুরী বলেন, পুলিশ, র্যাব, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবে না। একটি জনগণ সমর্থিত সরকার যখন দেশ পরিচালনা করে সেই সমর্থনকে নিয়েই কিন্তু দেশ পরিচালিত হয়, সেই সমর্থনকে নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে, দেশের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে। সেটা আজকে অনুপস্থিত, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের তুলে ধরতে হবে।
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যেও সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা তো সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেটার অপেক্ষায় জনগণ আছে। আর বাংলাদেশের জনগণ ছাড়াও যারা স্টেক হোল্ডার আছে দেশের ভেতরে দেশের বাইরে। তারা সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছে কারণ তাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, নির্বাচিত সরকারের অধীনে হলে তারা শর্ট টার্ম-মিড টার্ম-লং টার্ম যে সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম তাদের আছে তা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ জন্য তারাও অপেক্ষা করছে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন।