টাঙ্গাইলে এক মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩৪ নেতাকর্মী খালাস
Published: 23rd, January 2025 GMT
টাঙ্গাইলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩৪ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম সব আসামিকে খালাসের এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা বলেন, গত ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আওয়ামীবিরোধী হরতাল চলাকালে যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে গোলচক্কর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ৩৮ জন নেতাকর্মীসহ ১১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
২০১৫ সালের ১৭ মে এসআই কুতুব উদ্দিন আহমেদ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র দু’জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। তাছাড়া যে দু’জন সাক্ষী দিয়েছেন তারাও আসামিদের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। আজ বৃহষ্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ আর কোনো সাক্ষী আনতে না পারায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ করেন। পরে বিচারক এ মামলা থেকে আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ