টাঙ্গাইলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩৪ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম সব আসামিকে খালাসের এ আদেশ দেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা বলেন, গত ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আওয়ামীবিরোধী হরতাল চলাকালে যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে গোলচক্কর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ৩৮ জন নেতাকর্মীসহ ১১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। 

২০১৫ সালের ১৭ মে এসআই কুতুব উদ্দিন আহমেদ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র দু’জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। তাছাড়া যে দু’জন সাক্ষী দিয়েছেন তারাও আসামিদের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। আজ বৃহষ্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ আর কোনো সাক্ষী আনতে না পারায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ করেন। পরে বিচারক এ মামলা থেকে আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপিএল ছেড়েই ‘মানসিক প্রস্তুতিতে’ টেস্ট খেলবেন বিজয়? 

‘মানসিক প্রস্তুতি’। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ পরিচিত শব্দ হয়ে ওঠার কথা। গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির এই বিশেষ ধরনের কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-২০ ফরম্যাটের বিপিএল শেষ করেই ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে অসুবিধা হবে কিনা এমন প্রশ্নে মানসিক প্রস্তুতি থাকার কথা বলেছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেও একই কথা বলেন শান্ত, ‘সিরিজের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’ এবারো প্রকৃত প্রস্তুতির বদলে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার পেছনে কারণ পরিষ্কার। ডিপিএল খেলতে ব্যস্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে ডাক পাওয়া সব ক্রিকেটার।

টেস্টের জন্য এক সপ্তাহ আগে সিলেটে ক্যাম্প শুরু হয়েছিল। তবে ১৩ এপ্রিলের ওই ক্যাম্পে ছিলেন মাত্র ৮ ক্রিকেটার। বিপিএলের পর ফেব্রুয়ারির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এরপর ডিপিএল; সব মিলিয়ে টানা সাদা বলের ক্রিকেটের পর টেস্টের জন্য এক সপ্তাহ ক্যাম্প করার সময়ও হয়নি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের। মানসিক প্রস্তুতিই তাই ভরসা ছিল। যা সিলেট টেস্টে কাজে দেয়নি।

এনামুল হক বিজয়ের জন্য এই ‘মানসিক প্রস্তুতি’ হতে যাচ্ছে আরও কঠিন। ডিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। সেঞ্চুরির রেকর্ড করেছেন। বুধবার আবাহনীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি দিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে তার শতকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১। বিজয়ের মাথায় নিশ্চয় ২৬ এপ্রিল ডিপিএলে মোহামেডানের বিপক্ষে সুপার লিগের ম্যাচ ঘুরপাক খাচ্ছিল।

মোহামেডান ম্যাচের জন্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল গাজী গ্রুপের ব্যাটার বিজয়ের। অথচ হুট করে তাকে ডাকা হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে। বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, বিজয় তাদের প্রক্রিয়ার মধ্য ছিলেন, ভাবনায় ছিলেন। প্রক্রিয়া বলতে, গত বছর পাকিস্তানে ‘এ’ দলের হয়ে দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

যদিও ওই সফরের তিন ইনিংসে ১৮ রান করেছিলেন বিজয়। প্রক্রিয়ায় মধ্যে থাকায় বলা নেই, কওয়া নেই, ক্যাম্প করার সুযোগ নেই, ডিপিএল থেকে মোহামেডান ম্যাচের আগে ডেকে পাঠানো হলো জাতীয় দলে। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় অফ ফর্মে আছেন। তাদের একজনকে বসিয়ে এনামুলকে একাদশ নিলে প্রস্তুতির জন্য মাত্র তিনদিন পাবেন তিনি। লম্বা বিরতির পর মাত্র তিনদিনে প্রকৃত প্রস্তুতি নাকি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট খেলতে নামবেন বিজয়?  

সম্পর্কিত নিবন্ধ