পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা বাতিল করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে আদালত তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ইমরানের দল পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমানোর লক্ষ্যে ৭২ বছর বয়সী ইমরান গত বছরের শেষের দিকে আলোচনা শুরু করেছিলেন। আর্থিক অনিয়মের দিক থেকে খানের বিরুদ্ধে আসা জমি দুর্নীতির মামলাটিই সবচেয়ে বড় ছিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, একজন আবাসিক ব্যবসায়ীকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ারি বিনিময়ে খান এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠিত একটি কল্যাণ প্রতিষ্ঠানকে জমি দেওয়া হয়েছিল।

কারাগারে ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে দলের চেয়ারম্যান গোহর খান বলেছেন, “ইমরান খান আলোচনা বাতিল করেছেন।”

তিনি জানান, গত সপ্তাহে সরকারকে দেওয়া দাবি পূরণের জন্য সাত দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ইমরান খান তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

পিটিআইয়ের দাবি ছিল, ২০২৩ সালের আগস্টে ইমরানের গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং তার সমর্থকরা সামরিক অফিস ও স্থাপনায় ভাঙচুর করলে যে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়, তার তদন্তের জন্য দুটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প

ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।

ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।

মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ