‘গণমাধ্যমের সংস্কার নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, গণতন্ত্রমুখী’
Published: 23rd, January 2025 GMT
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, ‘‘কমিশন গণমাধ্যমের টেকসই সংস্কারের জন্য কাজ করছে, যা শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, বরং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামোর অংশ হবে।’’
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকায় সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসারে একযোগে কাজ করছেন এমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জোট হচ্ছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন।
নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কী ধরনের সুপারিশ করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্য দেশগুলোর ঢাকাস্থ দূতাবাসসমূহের প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। অপতথ্য ও ভুয়া তথ্য প্রচারের ঝুঁকি মোকাবিলায় কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণমাধ্যম সংস্কারে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কেও তারা জানতে চান।
কমিশন প্রধান ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের আমলে সংবাদ মাধ্যমের ওপর যেসব অযাচিত আক্রমণ এসেছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় কমিশন প্রধান মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের জানান, আমাদের মেয়াদ ৯০ দিন।
আমরা চেষ্টা করছি আমাদের অংশীজন প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিক, বেতার ও টেলিভিশন মালিক এবং সাধারণ জনগণ-দর্শক-শ্রোতা যারা গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে আলোচনা করে একটি নির্ভরযোগ্য সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কথা শুনছি এবং তাদের মতামত গ্রহণ করছি। রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণমাধ্যম সম্পর্কিত তাদের পর্যাবেক্ষণ এবং সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’
প্রতিনিধি দলের অপর এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সরকারি আইন অনুযায়ী বীমা সহায়তা প্রদান করা যায় কিনা এ বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করছেন।
এ আলোচনা সভায় কমিশন সদস্য শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধি ইউএস অ্যাম্বাসির স্টিফেন এফ ইবেলি, ব্রিটিশ হাই কমিশনের ভানেসা বিউমন্ট, জাপান অ্যাম্বাসির মিচিকো ইউইডিএ, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের লারা এ্যাডামস, কানাডিয়ান হাইকমিশনের সিওবনান কেন, সুইডেন অ্যাম্বাসির পাওলা কাস্ট্রো নেইডারস্টাম, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসির কোর স্টাউটেন, ফ্রান্স অ্যাম্বাসির ইয়ামিলি পালাহাউন, সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসির আলী সোহেল ইবনেসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি: আমীর খসরু
নির্বাচনে যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি করবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতীত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, দায়বদ্ধ সরকার, যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে, তারাই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, পুলিশ, র্যাব ও সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবেন না।
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যে সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল (রাজনৈতিক ইচ্ছা) থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেটার অপেক্ষায় জনগণ আছে।
এর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন।