ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রস্তাবিত নীতিমালার আলোকে এখন থেকে কোনো ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যিনি চালক তিনি মালিক এই নীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। 

ডিএমপির সদর দপ্তরে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করলেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাস চলাচলকারী সড়কসহ মূল সড়কে যেন এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা না চলে সেজন্য মালিক-শ্রমিক সবাইকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ঢাকা মহানগরের বাইরের ব্যাটারিচালিত রিকশা মহানগরে প্রবেশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় ডিএমপি কমিশনার পরিবহন সেক্টরে সব শ্রেণির চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোনোরকম চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিক কেউ যেন কাউকে কোনো চাঁদা না দেন। কেউ চাঁদা দাবি করলে তা নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ফাঁড়িকে জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।

সভায় অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন এবং সেসব সমস্যা সমাধানে পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.

সরওয়ার, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার ও উপ-কমিশনারসহ ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ