গাজীপুরের চন্দ্রায় বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘অগ্নিনিরাপত্তা, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের অ্যানভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেইফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন এই কর্মশালার (২২ ও ২৩ জানুয়ারি) আয়োজন করে।

কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মো.

হুমায়ন কবির, সহকারী প্রশিক্ষক, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ট্রেনিং কমপ্লেক্স মিরপুর, ঢাকা। এছাড়া ট্রেনিং কমপ্লেক্স মিরপুরের অন্যান্য প্রশিক্ষকরা কর্মশালায় অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

বাণিজ্যমেলা ও অনলাইনে ওয়ালটন প্লাজায় টিভি, স্মার্টফোন কেনায় বিশেষ ছাড়

মাহাবুব আলম মৃদুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সারা দেশে মিলাদ ও দোয়া

কর্মক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগুনের ঝুঁকি হ্রাস করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদ রক্ষা, প্রবিধান মেনে চলা, নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, কর্মীদের মনোবল উন্নত করা ইত্যাদি আলোকপাত করা হয়। সেই সাথে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে তা মোকাবিলা করার জন্য মূল তিনটি অংশে-অগ্নিনির্বাপন, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা-ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ শেখানো হয়।

শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে, কুয়াশাও থাকে। তারপরও আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটে শীতেই। ফায়ার সার্ভিস এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন-শীতের ঠান্ডা বা কুয়াশা আগুন ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে না। উল্টো শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়ায়। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বর থেকে মার্চ, এই চার মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে যায়। তাই ওয়ালটন প্রতিনিয়ত সব সদস্যদের অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আপডেট রাখতে প্রস্তুত।

প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকৃত সব পরীক্ষা ও গ্রুপ টাস্কে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষাণার্থীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ