সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
Published: 23rd, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মো. আলিফ (১৮) নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে একটি একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় শামীম ওসমানের ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরি ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া রাজু ও নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম মেম্বারসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দায়ের করার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। এরআগে আদালতের নির্দেশে বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী আহত মো.
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ-বাংলা ব্যাংক এলাকায় ভিকটিমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সাবেক এমপি শামীম ওসমান, তার ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র, শর্টগান, পিস্তল, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।
হামলাকারীদের গুলিতে ভিকটিমের বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা শেষে বাদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা আদালতে নির্দেশে মামলাটি থানায় রুজু করেছি।
মামলার আসামি হলেন যারা :
১) এ.কে.এম শামীম ওসমান (৬৪),
২) সেলিম ওসমান (৭০), উভয় পিতা মৃত এ.কে.এম শামসুজ্জোহা,
৩) অয়ন ওসমান (৩৫), পিতা শামীম ওসমান,
৪) আজমেরী ওসমান (৪২), পিতা মৃত নাসিম ওসমান, সর্ব সাং-১৯৯ নবাব সলিমুল্লাহ রোড, চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ।
৫) ইয়াছিন হাজী (৬২), পিতা মুলফত আলী, সাং মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৬) আলহাজ্ব মোঃ মজিবুর রহমান পিতা মৃত রজ্জব আলী, সাং মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৭) শাহরিয়ার রহমান বাপ্পী (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, (ছাত্রলীগ ক্যাডার), সাং-২নং ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা নারায়নগঞ্জ,
৮) হাজী মোঃ কালাচান বেপারী (৬০), পিতা-ইজ্জত আলী বেপারী, সাং-ডিক্রীর চর, পোঃ আলীরটেক, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ সদর,
৯) হযরত আলী (৪৫), পিতা-রমজান আলী মাতববর, সাং-আটি গ্রাম, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১০) শফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত শহিদ চেয়ারম্যান, সাং মিজমিজি পশ্চিম পাড়া, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
১১) রহিম মেম্বার, পিতা-মৃত জহির উদ্দিন, সাং-পাইনাদী, পোঃ নিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
১২) মোঃ সুফিয়ান, পিতা আব্দুস সামাদ, পোঃ মিজমিজি, পাগলাবাড়ী, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
১৩) পানি আক্তার (৩৮), পিতা-আব্দুল করিম, সাং সোনামিয়া মার্কেট, পোষ্ট আদমজী নগর, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৪) মানিক মাষ্টার (৪৮), পিতা মাইনুদ্দিন, সাং সোনামিয়া মার্কেট, পোষ্ট আদমজী নগর, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৫) খোকন (২৯), পিতা রহিম মেম্বার, সাং-পাইনাদী, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৬) চান মিয়া, (বঙ্গবন্ধু কর্মজীবীলীগ চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কমিটি), ফজর আলী চেয়ারম্যান, সাং-পাইনাদী, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৭) শাহ নিজাম (৫৬) (যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, নারায়নগঞ্জ মহানগর
আওয়ামীলীগ), পিতা শাহ নুরুদ্দিন, সাং চাযাড়া, নারায়নগঞ্জ।
১৮) মোঃ মকবুল পেদা (৫৫), পিতা মৃত মুজাফফর পেলা, সাং-নলখোলা পেদা বাড়ী, পোঃ দশমিনা, থানা-দশমিনা, জেলা পটুয়াখালী, হাল সাং সাহেবপাড়া, সাইনবোড, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
১৯) তানজিল কবির সাজু (৪০), পিতা মৃত হুমায়ুন কবির, সাং-কদমতলী, খানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২০) রমজান, (যুবলীগ নেতা), পিতা গফুর, সাং-সিআইখোলা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২১) মোঃ ফারুক (৪০), পিতা মৃত মোঃ ফিরোজ মিয়া, সাং-কুড়িপাড়া, ২৭ নং ওয়ার্ড, থানা-বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২২) শুভ (৩৪) (যুবলীগ ক্যাডার), পিতা- ইসমাইল, সাং-২নং ওয়ার্ড, মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২৩) মোঃ খোকন এল.এক্স খোকন (৩২) (যুবলীগ ক্যাডার), পিতা আলী, সাং-মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২৪) মোঃ নজরুল ইসলাম (প্রচার সম্পাদক) ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ, পিতা মৃত মনির উদ্দিন, সাং ওয়াপদারপুল, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
২৫) মহিউদ্দিন ফর্মা, পিতা-মৃত বিল্লাল মিয়া, সাং-ফৈটকার বাড়ী, মিজমিজি আব্দুল আলী পুল
সংলগ্ন, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২৬) সাইফুদ্দিন সুজন, পিতা মৃত সোহেল আহম্মেদ, সাং- পরচলা, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমান সাং পাইনাদী নতুন মহল্লা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২৭) আমির, পিতা আব্দুস ছাত্তার, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২৮) হামিম, পিতা আমির, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২৯) মোঃ বখতিয়ার আহম্মেদ কাঞ্চী (শিবু), পিতা-মোঃ আব্দুস ছালাম, সাং-রোহিলা, দাউদপুর, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩০) ইমরান, পিতা-আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩১) আক্তার, পিতা-আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩২) মোক্তার, পিতা- আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৩) সিফাত, পিতা অজ্ঞাত, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৪) ইমন, পিতা-আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং দক্ষিন কোতয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৩৫) মোঃ নুর কামাল (৪৮), পিতা আলাউদ্দিন ভুইয়া, সাং মিজমিজি পূর্বপাড়া, আলামিন নগর, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৩৬) মোঃ সাজু (৩৮), পিতা-মান্নান, সাং মিজমিজি পূর্বপাড়া, পাগলাবাড়ী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৭) মোশারফ হোসেন দীপু (৩৫), (আওয়ামীলীগ মৎসজীবী লীগের সাধান সম্পাদক, মতির ক্যাডার), পিতা-সামছুল হক, সাং-কদমতলী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৮) শহিদুল ইসলাম, (এমপি খোকার আমর্স ক্যাডার), পিতা-খালেক, সাং-শাহাপুর, থানা-সোনারগা, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
৩৯) গোলাম বর বাচ্চু (৫৮), পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন হাওলাদার, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-আরজি কলিকাপুর, থানা-বিমানবন্দর, জেলা-বরিশাল, বর্তমানে- সানারপাড়, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪০) জয়নাল গাজী (৬৯), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-উত্তর কদমতলী, গ্যাসলাইন রোড, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
৪১) মোঃ মশিউর রহমান বুলবুল (৪০), পিতা জাহাঙ্গীর মৃধা, (মতিউর রহমান মাষ্টারের বাসা সংলগ্ন), সাং-উলানিয়া, পোঃ উলানিয়া, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী,
৪১) স্বপন গাজী, পিতা মৃতঃ আউয়ব আলী গাজী, সাং-গোদনাইল, বার্মা স্ট্যান্ড, বাগানবাড়ী, কাজীবাড়ী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪২) হাজী রিপন গাজী, পিতা মৃত বাদশা গাজী, সাং- গোদনাইল, বার্মা স্ট্যান্ড, বাগপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ,
কাজীবাড়ী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪২) হাজী রিপন গাজী, পিতা মৃত বাদশা গাজী, সাং- গোদনাইল, বার্মা স্ট্যান্ড, বাগপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৩) সিহাব (৪০), পিতা-মৃত এ.কে.এম নাসিম উদ্দিন, সাং-গোদনাইল, পদ্মা ওয়েল কোম্পানী রোড, (মরহুম বশির চেয়ারম্যান এর বাড়ী), থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৪) মোঃ রাসেল (৩৪), পিতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সাং কুশিয়ারা দক্ষিনপাড়া, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৫) মোঃ আমির হোসেন ওরফে জামাই আমির (৪৮), পিতা- অজ্ঞাত, সাং-জালকুড়ি, পোষ্ট-জালকুড়ি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-পটুয়াখালী,
৪৬) গোলজার হোসেন (২৬), পিতা-মনির হোসেন, সাং-বাঘবাড়িয়া, পোঃ নারায়নগঞ্জ,
৪৭) বাবুল (৩৫), পিতা মৃত চান মিয়া, সাং-বাঘবাড়িয়া, পোঃ মহজমপুর, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৮) আমিনুল হক রাজু (স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সিদ্ধিরগঞ্জ থানা), পিতা-কাজিম ভুইয়া, সাং-মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেল-নারায়নগঞ্জ,
৪৯) মোঃ শাহজাদা (৬০), পিতা সোনামিয়া বেপারী, সাং-মইনাকান্দী, পোষ্ট সম্ভপুরা, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫০) খোরশেদ আলম, পিতা-আব্দুস ছাত্তার গাজী, হোল্ডিং নং-০৮, রাস্তা-র্যাংকিং স্ট্রীট, পোঃ ওয়ারী- ১২০৩, থানা-ওয়ারী, ঢাকা।
৫১) আমির হোসেন (৩৫), পিতা ইউনুছ আলী, সাং-মইনাকান্দী, পোষ্ট সম্ভপুরা, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫২) ইউনুছ আলী (৬০), পিতা মৃত আব্দুল খালেক, সাং-মইনাকান্দী, পোষ্ট সম্ভপুরা, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫৩) সিমান্ত (২৫), ছাত্রলীগ নেতা (প্রতিষ্ঠাতা-টেনশন গ্রুপ), পিতা-শফিকুল ইসলাম, সাং-২নং ওয়ার্ড, আব্দুল আলী পুল, মিজমিজি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫৪) মোঃ ইসরাফিল (৩০), পিতা-মতি মিয়া, মাতা সামছুন নাহার, সাং মসিনাবন্দ, ১নং ওয়ার্ড, পোঃ গোগনগর, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, নারায়নগঞ্জ,
৫৫) মোঃ মিলন হোসেন (৪৮), পিতা-আব্দুল আজিজ, সাং মসিনাবন্দ, ১নং ওয়ার্ড, পোঃ গোগনগর, থানা- নারায়নগঞ্জ সদর, নারায়নগঞ্জ, আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০- ২০০ জন। আসামীগন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ল ম ওসম ন স দ ধ রগঞ জ শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ অয়ন ওসম ন স দ ধ রগঞ জ থ ন স ল ম ওসম ন শ ম ম ওসম ন স ব ক এমপ দ য় র কর হক ব জ র ল ইসল ম র রহম ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে মামলার রায় শুনে আদালত চত্বরে বিক্ষোভের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ
পঞ্চগড়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে বাদীপক্ষের লোকজনের বিক্ষোভ, আদালতের বিষয়ে সম্মানহানি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আদম সুফি তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে আইনজীবী সমিতির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছিল। মো. আদম সুফির সভাপতিত্বে ওই সভায় জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আইবুল আলম আঙ্গুরকে প্রধান করে চারজন আইনজীবীর সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জজ আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) আব্দুল বারী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খলিলুর রহমান, পঞ্চগড় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজলসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মো. আদম সুফি বলেন, গত ২০ মার্চ পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলার রায় প্রকাশের পর উচ্ছৃঙ্খল কিছু ব্যক্তি আদালতের বিষয়ে সম্মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতি দুঃখ প্রকাশসহ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি বস্তুনিষ্ঠ নয়। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি আদালত ও আইনজীবীদের সম্মান ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
গত রোববার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালত চত্বরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় পক্ষে-বিপক্ষে করা দুটি মামলার আসামিদের বেকসুর খালাসের রায় শুনে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন হত্যা মামলার বাদীপক্ষের লোকজন। বিক্ষোভে হত্যা মামলার বাদীপক্ষের লোকজন ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে আদালতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আদালতে আসা উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আদম সুফি আরও বলেন, রায় ঘোষণার পর আদালতের উদ্দেশে বিক্ষোভকারী যে ধরনের স্লোগান দিয়েছেন, তা আদালতকে অসম্মান করার শামিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিকদের কাছে যেভাবে টাকাপয়সা লেনদেনের কথা বলছিলেন, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পঞ্চগড়ে বিচারকেরা সুশৃঙ্খল পরিবেশে তাঁদের বিচারকার্য পরিচালনা করবেন এবং জেলার মানুষ ন্যায়বিচার পাবেন এমনটাই তাঁদের কামনা। কিন্তু কেউ যদি এই সম্মান আর আস্থার জায়গাটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তা খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরও সহায়তা চান।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গিগছ এলাকায় কসির উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী সামসুল হকের পরিবারের লোকজনের জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকালে কসির উদ্দিনের ছেলে মো. এরশাদ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই দিনই রাতে এরশাদের বাবা কসির উদ্দিন বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া থানায় ওই ঘটনায় সামসুল হক পক্ষের ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর ২০১১ সালের ১৪ জুন অপর পক্ষ সামসুল হকের স্ত্রী রনজিনা বেগম পঞ্চগড় আদালতে কসির উদ্দিন পক্ষের ১৯ জনকে আসামি করে একই ঘটনায় একটি পাল্টা মামলা করেন। দুটি মামলার কার্যক্রম একই আদালতে চলছিল। দীর্ঘদিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোনো পক্ষই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় গত রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম রেজাউল বারী দুটি মামলার সব আসামিকেই বেকসুর খালাসের রায় দেন।