আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ব্যবস্থা নেবে বশেমুরবিপ্রবি
Published: 23rd, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আন্দোলনের বিরোধিতাকারী এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি জমা দেওয়াও নির্দেশানা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া হামলাকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আনতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ পুনর্গঠন ও কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি জমা দেবেন। তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আন্দোলনের বিরোধিতাকারী এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ড. মো. রাজিউর রহমানকে সভাপতি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালককে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/বাদল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’