নায়ক হতে চেয়েছিলেন। তাই অন্য কোনও পেশায় যুক্ত হননি। তবে শুরুর দিকে করতে হয়েছে অনেক কষ্ট। নিজের মেধা, প্রতিভার সবটুকু ঢেলে দিয়ে পরিশ্রম করে তিনি হয়ে উঠেছেন নায়করাজ। বর্ণঢ্য অভিনয়জীবনে রাজ্জাকের স্মরণীয় দিন ছিল ১০০ তম সিনেমার উৎসব। তা নিজেই জানিয়ে গেছেন নায়করাজ।

কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে সামনে এসেছে রাজ্জাকের পুরোনো একটি সাক্ষাৎকারে ভিডিও।

সেখানে চলচ্চিত্র জীবনে সবচেয়ে বড় উপলব্ধি ও স্মরণীয় দিনের কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটা সময় চলচ্চিত্রে দিনরাত কাজ করেছি। যেমন কাজ করেছি তেমনই সন্মানও পেয়েছি। আমার সবচেয়ে স্মরণীয় দিন হল ১০০ তম সিনেমার রিলিজ উৎসব। কারণ, এজন্য আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পীদের ৭ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ৭ দিন প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, এফডিসি ও দর্শকের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরই মধ্যে এফডিসিতে তিনদিন ব্যাপী একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সেই সময়ের সব নায়কের স্বাক্ষরিত একটি স্মারক আমাকে উপহার দেওয়া হয়। সেটা আমার ঘরে আছে। দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে শততম সিনেমার সময় আমি যে চলচ্চিত্র শিল্প ও শিল্পীরা আমাকে যে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা দিয়েছিল এর চেয়ে বড় পাওয়ার আমার আর কিছু নেই।’

রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও গল্পকার জহির রায়হান আমাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। প্রথম দেখায় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি আপনাকে নায়ক বানাবো’। তিনি আমাকে নায়ক বানানোর জন্য ‘হাজার বছর ধরে’ ছবিতে নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নানা কারণে সিনেমাটি হয়নি। পরবর্তীতে তিনি ‘বেহুলা’ সিনেমায় আমাকে সুযোগ করে দেন।’

‘বেহুলা’ সিনেমার পর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে অভিনয় করে গেছেন। রাজ্জাক বলেন, ‘জহির রায়হান সাহেবের পরামর্শে আমি পরবর্তীতে এগিয়ে গেছি। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন, চলচ্চিত্রে লোভ করলে কিছুই পাওয়া যায় না, বরং ত্যাগ করতে হয়। তার এই বাণী আমি জীবনের প্রত্যেকটি পর্যায়ে মেনে চলেছি। তাই আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব জহির রায়হান সাহেব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন য়কর জ ন য়কর জ র জ জ ক চলচ চ ত র স মরণ য় সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব

উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।

স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় শপার্স ওয়ার্ল্ড এর পার্কিং লট থেকে। এসময় প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী বাঙালি পায়ে হেঁটে টায়রা এভিনিউ ধরে সমবেত হন ডেন্টনিয়া পার্ক শহীদ মিনার পাদদেশে। 

টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। এদিন শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে ছিল বৈশাখী মঙ্গলশোভা যাত্রা।

আয়োজকরা জানান, নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কানের ইতিহাসে এবারই প্রথম
  • অষ্টগ্রামের বিস্তীর্ণ হাওরের বুকে ধান কাটার উৎসব
  • এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর
  • ভেড়াডহর গ্রামে উরিগানের আসরে
  • এমপিওভুক্ত পৌনে ৫ লাখ শিক্ষকের বোনাস বাড়ছে
  • প্রথম আলোর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব আগামী ১৫ ও ১৬ মে
  • পয়লা বৈশাখের পর বৈশাখী ভাতা পেলেন মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা
  • কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব
  • আরাকান আর্মির বাংলাদেশের আকাশীমা লংঘ‌নের প্রতিবাদ
  • অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত