কুয়াশার কারণে ওসমানী বিমানবন্দরে শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের দুর্ভাগ
Published: 23rd, January 2025 GMT
ঘন কুয়াশার কারণে আজ বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সাতটি ফ্লাইট নিদ্দিষ্ট সময়ে উঠানামা করতে পারেনি। ফ্লাই ডিলে হওয়ার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের।
বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের দুটি ফ্লাইট ছিল। এসব ফ্লাইট সিলেট থেকে ছেড়ে যায় ১২টা ১০ ও ১২টা ৩০ মিনিটে। বাংলাদেশ বিমানের আরও দুটি ফ্লাইট ছিল সকাল ৯টা ও সাড়ে ৯টায়। এ দুটি ফ্লাইট সিলেট ছাড়ে ১১টা ৫০ ও ১২টা ৩০ মিনিটে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মধ্যে লন্ডন থেকে সিলেটগামী বিজি-২০২ ফ্লাইট ১০টা ১৫ মিনিটে আসার কথা থাকলেও ওসমানীতে অবতরণ করে ১টা ১০ মিনিটে।
সিলেট-ম্যানচেষ্টার বিজি-২০৭ বিমানটি ১২টা ১০ মিনেটে উড্ডয়নের কথা থাকলেও ২টার দিকে বিমানবন্দর ছাড়ে। জেদ্দা থেকে সিলেটগামী বিজি-২৩৫ বিমানটি সাড়ে ১০টায় অবতরণের কথা থাকলেও বিকাল ৪টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানা গেছে।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক এসব ফ্লাইটের এসব যাত্রীদের মধ্যে কেউ ৪ ঘণ্টা কেউবা ২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। এসব যাত্রীদের আবার অনেকে হজযাত্রী ছিলেন। কেউবা সিলেট-ঢাকা হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ডিলে হওয়ার কারণে দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। সিলেট থেকে ঢাকায় যাওেয়ার পর তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে, জানা যায়নি।
সিলেটের বালাগঞ্জের বিদেশযাত্রী শাহিন জানান, তার বিকেল ২টায় ঢাকা থেকে বাহরাইনের ফ্লাইট ছিল। সেজন্য সকাল সাড়ে ৮টার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন। কিন্তু কুয়াশার কারণে দুপুর হয়ে গেছে সিলেট বিমানবন্দরে। যদি ঢাকার ফ্লাইট ডিলে হয়, তাহলে বিদেশ যেতে পারবেন না।
ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ সমকালকে জানিয়েছেন, প্রত্যেক ফ্লাইট ডিলে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর আবার ফ্লাইট হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।
এদিকে দুপুরের পর থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেও আজ বৃহস্পতিবার সারাদিনই সুর্য়ের দেখা মেলেনি সিলেটে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে আকাশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কুয়াশা দূর হয়নি সিলেটের আকাশ থেকে। সিলেটে আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওসম ন
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানায়, ওয়াশিংটনে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি কানসাসের উইচিটা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে যাচ্ছিল। ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ আকাশে উড়োজাহাজ ও মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা জানান, সামরিক হেলিকপ্টারটিতে তিন সেনা সদস্য ছিলেন। এটি ভার্জিনিয়ার ফোর্ট বেলভোয়ার থেকে উড্ডয়ন করেছিল।
ওয়াশিংটন ডিসির দমকল বাহিনীর প্রধান জন ডোনেলি জানান, সংঘর্ষের পর দুটি উড়োযানই হিমশীতল পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হওয়া তিনি কারও বেঁচে থাকার আশা করছেন না।
বৃহস্পতিবার ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দুর্ঘটনাকে ‘দেশের রাজধানীর অন্ধকার ও বেদনাদায়ক রাত’ এবং ‘ভয়াবহ অনুপাতের ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিধ্বস্ত হওয়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ফ্লাইট ডেটা (উড্ডয়ন–সংক্রান্ত তথ্য) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিবিএস নিউজ ও এবিসি নিউজকে বৃহস্পতিবার বলেছে, আমেরিকান এয়ারলাইনসের ওই উড়োজাহাজের রেকর্ডিং যন্ত্রগুলো (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার) উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বাধীন তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এখন ব্ল্যাক বক্সের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করবে। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডই এ ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে পটোম্যাক নদীতে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। তবে ডুবুরিদের আশা, সব দেহাবশেষ তারা উদ্ধার করতে পারবেন।
কী ঘটেছিল
স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে ওয়াশিংটন ডিসির দক্ষিণ-পশ্চিমে পটোম্যাক নদীর তীরে অবস্থিত রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে কাছে পৌঁছানোর সময় কানাডীয় প্রতিষ্ঠান বোম্বার্ডিয়ারের তৈরি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের (ফ্লাইট ৫৩৪২) সঙ্গে সিকোরস্কি ব্ল্যাক হক আর্মির একটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়।
অবতরণের আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা পাইলটদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তারা রানওয়ে ৩৩ এ অবতরণ করতে পারে কিনা। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইটগুলো দেখিয়েছিল- কন্ট্রোলারদের কথায় সাড়া দিয়ে পাইলটরা উড়োজাহাজ অবতরণ করার কথা জানান।
বিধ্বস্ত হওয়ার ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময় আগে এক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটিকে জিজ্ঞাসা করেন, যে তারা উড়োজাহাজটি দেখতে পাচ্ছে কিনা।
দুর্ঘটনার সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বলতে শোনা যায়, ‘ক্র্যাশ, ক্র্যাশ, ক্র্যাশ, দিস ইজ অ্যালার্ট থ্রি।’
এক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বলেন, আমি শুধু একটি আগুনের গোলা দেখেছি। নদীতে নামার পর থেকে কিছুই দেখিনি।
একটি সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা যায়, সংঘর্ষে দুটি উড়োযানেই আগুন লাগে। পরে পটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়
নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে যা জানা গেছে
ইউএস ফিগার স্কেটিং গভর্নিং বডি জানিয়েছে, উড়োজাহাজাটিতে থাকা ৬০ জন যাত্রীর মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন আইস স্কেটার, পরিবারের সদস্য এবং ফিগার স্কেটিং প্রতিযোগিতা শেষে একটি ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা কোচ ছিলেন। হেলিকপ্টারে থাকা তিনজনই সৈনিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জীবিতদের সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে রুশ আইস স্কেটিং প্রশিক্ষক এবং সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এক দম্পতি ছিলেন। ইয়েভজেনিয়া শিশকোভা ও ভাদিম নাউমভ ১৯৯৪ সালে ফিগার স্কেটিংয়ের যুগল ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তারা ১৯৯৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেখানেই তরুণ স্কেটারদের তারা প্রশিক্ষণ দিতেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের সংখ্যা ঘোষণা করা না হলেও মার্কিন সিনেটর রজার মার্শাল জানিয়েছেন, উড়োজাহাজের সবাই না হলেও তাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি লিখেছেন, উড়োজাহজটি তার সঠিক পথেই বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু হেলিকপ্টারটি অনেকক্ষণ ধরেই সরাসরি উড়োজাহাজটির দিকে এগোচ্ছিল।
রাতের আকাশ যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল। বিমানে আলো জ্বলছিল। হেলিকপ্টারটি উপরে উঠে যেতে পারত, নিচে নেমে আসতে পারত কিংবা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারত। কেন তা করা হল না? কন্ট্রোল টাওয়ার থেকেই বা কেন হেলিকপ্টারকে এ সংক্রান্ত সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হলো না?
কন্ট্রোল টাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প লিখেছেন, হেলিকপ্টারের পাইলট উড়োজাহাজটি দেখেছেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে কন্ট্রোল টাওয়ার কেন হেলিকপ্টারটিকে কী করতে হবে তা জানায়নি?
ট্রাস্প এ দুর্ঘটনাকে ‘ভয়ানক বিপর্যয়’ উল্লেখ করে বলেন, এই রাত কত ভয়াবহই না ছিল! খুবই খারাপ একটি পরিস্থিতি গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এটা ঠেকানো যেত। ভালো হলো না।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, এ দুর্ঘটনার তদন্ত করা হবে।
পরে পেন্টাগনের পোস্ট করা এক ভিডিওতে হেগসেথ বলেন, এই দুর্ঘটনা একটি ট্র্যাজেডি। ঘটনার সময় উড়োজাহাজটি করিডোরে এবং সঠিক উচ্চতায় ছিল কিনা তা তদন্তে দ্রুত জানা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ যত উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
২০০১ আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি জেট নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ২৬০ জন নিহত হন এবং বিমানের বাইরে পাঁচজন মারা যান। বিমান দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় হতাহত হয় ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিমান ধ্বংস হয়।
আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি হাইজ্যাক করা বিমান বোস্টন থেকে ছেড়ে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনে বিধ্বস্ত হয়, এতে ৯২ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। বিধ্বস্তের সময় আশপাশে থাকা ১ হাজার ৬০০ জন মারা যান। আরেকটি হাইজ্যাক করা ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জেটও বোস্টন থেকে উড্ডয়ন করে এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানে, এতে ৬৫ জন যাত্রী নিহত হন। আর দুর্ঘটনার স্থানে থাকা প্রায় ৯০০ জন মারা যান।
ওয়াশিংটন-ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে তৃতীয় একটি হাইজ্যাক করা আমেরিকান এয়ারলাইনসের জেট পেন্টাগনের ওপর বিধ্বস্ত হয়, এতে ৬৪ জন যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার স্থানে থাকা প্রায় ১২৫ জন মারা যান।
আর ইউনাইটেড এয়ারলাইনের হাইজ্যাক করা জেটটি নিউজার্সি থেকে উড্ডয়ন করে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়, এতে ৪৪ জন যাত্রী নিহত হন।
এছাড়া ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৯ সালে দেশটিতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। ২০০৩ সালে ইউএস এয়ারওয়েজ এক্সপ্রেসের একটি টার্বোপ্রপ বিমান উত্তর ক্যারোলিনার শার্লটে উড্ডয়ন করার পর দুর্ঘটনায় পড়ে। উড়োজাহাজের ২১ জন আরোহী মারা যান। পরের বছর ২০০৪ সালে করপোরেট এয়ারলাইনসের একটি টার্বোপ্রপ বিমান মিজৌরির কার্কসভিলে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে, এতে ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন নিহত হন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে উড্ডয়নের পর চক’স ওশান এয়ারলাইনের একটি টার্বোপ্রপ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ২০ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের লেক্সিংটন থেকে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে ছিটকে পড়ে কমএয়ারের একটি রিজওনাল জেট। এতে বিমানের ৫০ জন আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন মারা যান। ২০০৯ কলগান এয়ারের একটি টার্বোপ্রপ বিমান নিউইয়র্কের বাফেলোতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে বিমানে থাকা ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। আর বিমানের বাইরের একজন নিহত হন।