শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে জবিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবি
Published: 23rd, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি এবং দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নতি হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সাবেক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ও প্রযোজন সম্পর্কে বেশি অবগত। তারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণামূলক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ বলেন, “১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে সুযোগ পেয়েছে তুলনামূলক অনেক কম। বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। এছাড়া বেশিভাগ শিক্ষক অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ায় ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে দূরত্ব তৈরিসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।”
শাখার সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, “প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরে অল্প সংখ্যক ছাড়া জবি থেকে শিক্ষক নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমাদের শিক্ষার্থীরা কি মেধাবী নয়? এত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যোগ্যতা অর্জন করা মেধাবীদের যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন না করে, এটা অনেক হতাশার সৃষ্টি করে। এটা এক ধরনের বৈষম্যও বটে। আমরা চাই আগামী শিক্ষক নিয়োগগুলোতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের যেন মূল্যায়ন করা হয়।”
দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, “আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে বেছে নেব। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেব।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’