জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি এবং দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নতি হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, সাবেক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ও প্রযোজন সম্পর্কে বেশি অবগত। তারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণামূলক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ বলেন, “১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে সুযোগ পেয়েছে তুলনামূলক অনেক কম। বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। এছাড়া বেশিভাগ শিক্ষক অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ায় ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে দূরত্ব তৈরিসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।”

শাখার সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, “প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরে অল্প সংখ্যক ছাড়া জবি থেকে শিক্ষক নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমাদের শিক্ষার্থীরা কি মেধাবী নয়? এত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যোগ্যতা অর্জন করা মেধাবীদের যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন না করে, এটা অনেক হতাশার সৃষ্টি করে। এটা এক ধরনের বৈষম্যও বটে। আমরা চাই আগামী শিক্ষক নিয়োগগুলোতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের যেন মূল্যায়ন করা হয়।”

দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, “আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে বেছে নেব। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেব।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শুক্র-শনিবার খোলা ডিএসসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রয়োজনে সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আঞ্চলিক ও ওয়ার্ড সচিবের কার্যালয় খোলা রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসসিসি থেকে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কার্যক্রম চলমান থাকায় নাগরিকত্ব সনদ এবং জন্ম-মৃত্যু সনদ সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ও শনিবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড সচিবের কার্যালয় খোলা থাকবে। 

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ