সালমান এফ রহমান ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক
Published: 23rd, January 2025 GMT
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা প্রায় ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। বৃহস্পতিবার সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সালমান এফ রহমানের অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড ও কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের দুইটি প্রতিষ্ঠানের নামে ২১টি এলসির (বিক্রয় চুক্তি) মাধ্যমে ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৪ ইউএস ডলারের পণ্যমূল্য রপ্তানি করে অর্থ পাচার হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা শহরে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরআর গ্লোবাল ট্রেডিং এফজেডই ও সাইফ লাউঞ্জ এসব অর্থ পাচার করে। ওই বিষয়ে মানিলন্ডারিং মামলা তদন্তাধীন আছে।
এতে বলা হয়, এজাহারনামীয় আসামিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে। তাঁদের নামে ঢাকা জেলার দোহারে থাকা প্রায় ২ হাজার শতাংশ জমি এবং ভূমির ওপর নির্মিত স্থাপনা, গুলশান ২–এ দ্য ইনভয় ৮৪ ভবনে তাঁর ছেলের ৬১৮৯.
ট্রেড বেইসড মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৮৩ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন দেশে পাচারের আভিযোগে সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’