দীর্ঘ ১৬ বছর পর আপিল দায়েরের অনুমতি পেয়েছে চ্যানেল ওয়ান। বৃহস্পতিবার এই অনুমতি দেন চেম্বার জজ। এই আদেশের ফলে চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ওয়ান’ ১৬ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর তৎকালীন সরকার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বন্ধ করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসাবশত শেখ হাসিনা বিটিআরসিকে বাধ্য করে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটির সম্প্রচারে হস্তক্ষেপ করেন।

পরে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরাসরি তৎকালীন সরকারের অন্যায় নির্দেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। চ্যানেল ওয়ান এর লিগ্যাল অফিসার মিজান-উল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও মামলা নিয়ে আদালতে গেলে চেম্বার জজ আপিল করার অনুমতি দেন। ফলে দীর্ঘ বছর ১৬ বছর পর আবারও চ্যানেল ওয়ান দর্শকদের সামনে আসবে এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

আদালতের এমন আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বলেন, অন্যায়ভাবে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ আদালত ন্যায় করেছেন।

চ্যানেল ওয়ান এর পক্ষে আইনি লড়াই করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, পলাশ চন্দ্র রায়, কাজী আখতার হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম আকাশ এবং মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বোয়ালখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ ৪ জন আটক

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ রাউন্ড এ্যামোনিশন (গুলি), দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ ৪ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সালাহ উদ্দিন আল মামুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল জানান, অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে শহিদুল আলম (৩৮), মো. জানে আলম নান্নু (৪০), জুবায়েদ আকবর (২৬) ও মো. মোর্শেদকে (৪৭) আটক করা হয়। 

তাদের কাছ থেকে ৪ রাউন্ড রাইফেল এ্যামোনিশন (গুলি), ১০ রাউন্ড শটগান এ্যামোনিশন (গুলি), ২১টি দেশীয় অস্ত্র, নগদ ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪২৫ টাকা, ২৫টি মোবাইল সেট ও ৩টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।

জব্দ মালামালসহ আটকদের বোয়ালখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ