সারাদেশে অগ্নিনিরাপত্তা বাড়াতে রাজউক ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। বিশেষ করে শীতকালে অগ্নিদুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

অগ্নি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মহড়া, গণসংযোগ, প্রশিক্ষণ, লিফলেট বিতরণসহ নানবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অগ্নিনিরাপত্তার আওতায় আনতে নিয়মিত পরিদর্শন ও নোটিশ প্রদান করে থাকেন। ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং ঢাকায় রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ পর্যন্ত জানুয়ারি মাসে সারাদেশে মোট ৩৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা সঠিক না থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি ঢাকার খিলগাঁও-এর ৩৬৮ স্কাইভিউ নাজমা টাওয়ারে রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট মো.

লিটন সরকারের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। ১০তলা ভবনটি আবাসিক হিসেবে অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করায় এবং অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এর বিভিন্ন তলায় বিদ্যমান পাঁচটি রেস্টুরেন্ট ও একটি মিনিসোর শোরুম সিলগালা করা হয়েছে। বাকি দোকানগুলো বন্ধ থাকায় সেগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকার দুজন জোন কমান্ডার, খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার, দুজন ইন্সপেক্টরসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জউক

এছাড়াও পড়ুন:

দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিওর বিষয়ে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও)
ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন।
      
তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে আইন অনুযায়ী সেটি কমিশনের যাচাই-বাছাই সেল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জমা হলেও একই সেল সেটি খতিয়ে দেখার পর একই প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান শুরু হবে। দুর্নীতির আমলযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গত ৮ এপ্রিল। চলতি বছরের গত ১৪ আগস্ট মোয়াজ্জেম হোসেনকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। 

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ