চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলেন এলজিইডি কর্মকর্তা
Published: 23rd, January 2025 GMT
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে সানোয়ার হায়দার (৩৬) নামে এক এলজিইডি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সানোয়ার হায়দার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার নয়াটোলা জমিলা লেন এলাকার বাসিন্দা। সরিষাবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্য সহকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ভুয়াপুরগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরিষাবাড়ী রেলওয়েস্টেশনে প্রবেশ করছিল। এ সময় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেস সানোয়ার হায়দার। পরে চলন্ত ট্রেনে তার দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রিয়া আক্তার জানান, নিহত ব্যক্তি ট্রেন আসার আগে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যখন ট্রেনটি আসে তখন তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেন উপজেলা বন্যা প্রকল্পের কার্য-সহকারী ছিলেন। তিনি দুই বছর ধরে এখানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক, দুঃখজনক।
তিনি জানান, বেশকিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ঝামেলা চলছিল তাঁর। সম্ভবত তিনি মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি রেলওয়ে ফাঁড়ির এএসআই আশীষ চন্দ্র দে জানান, রেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট র ন র স মন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।