শামীম ওসমান-সেলিম ওসমানসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 23rd, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় মো. আলিফ (১৮) নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫৬ নেতাকর্মী এবং ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০২৪ সালের ২১ জুলাই বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ-বাংলা ব্যাংক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, শামীম ওসমানের নির্দেশে এবং তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরি ওসমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, শর্টগান, পিস্তল, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল এবং ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করে।
এ সময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে আলিফের বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে। গুরুতর আহত আলিফকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ট্রাস্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলিফের বাবা মো.
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শামীম ওসমানকে। তার সঙ্গে তার ভাই সেলিম ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া রাজু এবং নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম মেম্বারসহ মোট ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আরও ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন স দ ধ রগঞ জ থ ন শ ম ম ওসম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।