ভালো কাজ দিয়েই দর্শকমনে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকা যায়: নিরব
Published: 23rd, January 2025 GMT
‘প্রতিবছরই নতুন কিছুর পরিকল্পনা থাকে। সবসময় চ্যালেঞ্জিং কিছু কাজ করতে চেয়েছি। ‘পোলাপ’ সিনেমার কাজটি আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি কিন্তু রাজনৈতিক পটভূমির গল্পে আমাকে আগে কখনও দেখা যায়নি। সিনেমায় কাজের প্রস্তাব এলে আর না বলতে পারিনি।’
‘গোলাপ’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন অভিনেতা ও মডেল নিরব। টানা কয়েক মাসের আন্তর্জাতিক সফর শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। ফিরেই বছরের শুরুতে দিলেন নতুন সিনেমার খবর। জানা গেছে, সিনেমাটি পরিচালনা করছেন শামসুল হুদা। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ অনিক বিশ্বাসের।
সিনেমার ফার্স্ট লুক পোস্টারে ধরা দিলেন অন্য এক নিরব। একটা হাত মাথায় ঝোলানো। ওই হাতে পিস্তলের ট্রিগারে রয়েছে আঙুল। গলায় রক্তের দাগ। চোখেমুখে হিংস্র অভিব্যক্তি। সবাই পোস্টারটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমায় নিরবের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন তা এখনও জানা যায়নি। শিগগিরই নির্মাতার তরফ থেকে সে ঘোষণা আসবে।
সাসপেন্স থ্রিলার এবং অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটি দৃশ্যধারণ শুরু হবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। ঢাকা ও সৈয়দপুরের বিভিন্ন লোকেশনে এর চিত্রায়ণ হবে। আসছে এরপর ঈদুল আজহায় এর মুক্তির পরিকল্পনাও করছেন নির্মাতা।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মডেলিং ও সিনেমায় অভিনয় করে নিজেরে জাত চিনিয়েছেন নিবর। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে প্রস্তুত করে পা দিয়েছেন এ অভিনেতা। জনপ্রিয়তার পেছনে না ছুটে অধ্যবসায় আর পরিশ্রম করে এগিয়ে গেছেন সাফল্যের পথে। একটু পেছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখি ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’, ‘গুরুভাই’, ‘মন দিয়েছি তোমাকে’, ‘বলো না তুমি আমার’, ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’, ‘আব্বাস’, ‘কসাই’, ‘ক্যাসিনো’, ‘ফিরে দেখা’সহ আরও কিছু ভিন্ন ধাঁচের সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেতা।
১৬ বছরের সিনেমা ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়েছে জনপ্রিয়তা চিরস্থায়ী নয়। ভালো কাজই একজন অভিনেতাকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে পারে।
নিরব বলেন, ‘শুধু ভালো কাজ দিয়েই দর্শকমনে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকা যায়। তাই জনপ্রিয়তার দৌড়ে অংশ নেওয়ার চেয়ে ভালো কাজ করে যাওয়াই মুখ্য। যে কারণে আগামীতে যে কাজগুলো বেছে নিতে চাই, যেখানে ধাঁচের গল্প আর নতুন সব চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ থাকবে।’
নিরবের এই ভাবনা ও কাজের পরিকল্পনা শুনে এটা বুঝতে বাকি থাকে না যে, আগামীতে একটি পোক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে যাচ্ছেন তিনি। যে অধ্যায়ের প্রতিটি পরতে পরতে তাকে নতুনভাবে আবিষ্কারের সুযোগ পাবে দর্শক। ভালোমন্দ নিয়ে কেটে গেছে বিদায়ী বছরটি তাঁর। গেল বছর উল্লেখযোগ্যা কিছু কাজ করেছেন। পেয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরের একাধিক অ্যাওয়ার্ড’। নতুন বছরে নতুন কিছু যুক্ত হবে প্রত্যাশা করছেন এই তারকা অভিনেতা।
বর্তমানে সিনেমার কাজ নিয়েই নিরবের ব্যস্ত সময় কাটছে। বেশ আগে তিনি কাজ শেষ করেছেন ‘কয়লা’ সিনেমার। আর হাতে রয়েছে সিনেমা ‘স্পর্শ’। এই সিনেমার বেশির ভাগ দৃশ্যধারণ হয়েছে। শিগগিরই বাকি কাজ শেষ করবেন তিনি। এ ছাড়া আর একটি নতুন সিনেমার কাজ করবেন এই অভিনেতা। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ তিনি। পাশাপাশি মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পেলেও কাজ করছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’