কারাগারে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
Published: 23rd, January 2025 GMT
ঝালকাঠি কারাগারের কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ওই কারাবন্দীকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাতে ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায় হাজির করে বিষয়টি নিয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তার আইনজীবী।
ওই কারাবন্দীর নাম মো.
জুবায়েরের আইনজীবী বনি আমিন বাকলাই বলেন, ‘‘আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. মনিরুজ্জামান।’’
জুবায়েরের বরাতে তার আইনজীবী অভিযোগ করেন, জেলা কারাগারে বিভিন্ন অজুহাতে তার মক্কেলের (জুবায়ের) কাছে অর্থ দাবি করে আসছিলেন কারারক্ষীরা। এতে রাজি না হওয়ায় ১৭ জানুয়ারি কারাগারের সুবেদার সোহাগ হোসেন, প্রধান কারারক্ষী আলাউদ্দিন মিয়া, কারারক্ষী ইদ্রিস মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, শামীম হোসেন, নুরুল হক ও মুসা মিয়া কয়েক দফায় জুবায়েরকে মারধর করেন। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়।
জুবায়েরের ভাই হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, ‘‘উপর্যুপরি মারধরের পরেও আমার ভাইকে কোনো চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় নাই। জুবায়ের যখন ব্যথায় কাতরাচ্ছিল, তখন কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করায়। আমার ভাই এত অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাকে কারাগারের হাসপাতালে রাখে নাই।’’
তবে, অভিযোগ নাকচ করেছেন জেল সুপার আবদুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘‘জুবায়েরকে কোনো কারারক্ষী মারধর করে নাই। জুবায়ের ওয়ার্ডে খাবার নিয়ে কয়েদীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করলে নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সে আহত হয়। সেই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক কারারক্ষী আহত হয়েছেন। তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’
ঢাকা/অলোক/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা