ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রন সংস্থা (বিসিসিআই) নতুন নিয়মে জাতীয় দল এবং আশেপাশে থাকা সব ক্রিকেটারকে রঞ্জি ট্রফি খেলতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি, ২০২৫) ভারত দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রায় ১০ বছর পর খেলছেন ঘরোয়ার ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্টে। তবে দীর্ঘদিন পরে এই প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ এই ওপেনার। 

আজ রঞ্জির জম্বু-কাশ্মীরের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ম্যাচে মহারাষ্ট্রের এমসিএ স্টেডিয়ামে তাই আলাদা নজর ছিল ভারতের গণমাধ্যমের। রোহিতের সাথে এই ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালও।  যদিও ব্যর্থ হন তিনিও।

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে ভারত। গৌতম গাম্ভীর দলটির কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর তারা প্রথমবারের মত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়াতে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। এরপরই টনক নড়েছে বিসিসিআইয়ের। তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে তারকা ক্রিকেটারদের খেলাকে বাধ্যতামূলক করেছেন। তবে ঘরোয়াতে খেলতে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন রোহিত, জয়োসওয়াল, শুভমান গিলরা, ঋষভ পান্তরা।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিন: রংপুরের সামনে ‘দুর্বল’ রাজশাহী

অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

কাশ্মীরের-মুম্বাইয়ের ম্যাচে রোহিতের ব্যাটে থেকে আসে ৩ রান। উমর নাজিরের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ে ক্যাচ তুলে ফিরে গেছেন এই ওপেনার। এর আগে আকিব নাবির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ৫ রান করা জয়োসওয়াল।

ভারতের টপ অর্ডারের আরেক পরিচিত মুখ গিলও রঞ্জি খেলছেন পাঞ্জাবের হয়ে। দলটির অধিনায়ক কর্ণাটকের বিপক্ষে ৮ বলে ৪ রান করে অভিলাশ শেঠীর বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গিয়েছেন। ভারত জাতীয় দলের আরেক খেলোয়াড় পান্থ দিল্লি-সৌরাষ্ট্র ম্যাচে প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছেন মাত্র ১ রান। সৌরাষ্ট্রের হয়ে খেলছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

আগামী ৩০ জানুয়ারি রঞ্জিতে খেলবেন বিরাট কোহলিও। দিল্লি এবং রেলওয়ের ম্যাচটি দিয়ে ১২ বছর পর রঞ্জিতে ফিরবেন তিনি।

সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজও খেলার কথা ছিল তার, যদিও চোটের কারণে এই ম্যাচ খেলেননি তিনি। এই ম্যাচে কোহলি না খেললেও খেলছেন টেস্ট ফরম্যাটে ভারতের আরেক অলরাউন্ডার বোলিংয়ে এসে শুরুতেই উইকেট নিয়েছেন তিনি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় ইজারাকৃত গরুর হাটের পাশে জোর পূর্বক বাসানো হয়েছে বিকল্প হাট

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ২৫ বছরের পুরনো ইজারাকৃত গরুর হাটে ব্যাপারীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাজারের পাশে জোর পূর্বক বিকল্প আরেকটি হাট বসিয়ে একদল লোক পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার ১নং হরনী ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া বাজার দক্ষিণ নোয়াখালীর অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া কেনাবেচা হয়। জনপ্রিয় এই হাটের ইজারা মূল্য এবার দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকায়।

ইজারাদার অভিযোগ করেছেন, বাজারের আশপাশে পূর্বে কোনো গরুর হাট না থাকলেও হঠাৎ করে একই দিনে বাজারের কাছেই বিকল্প একটি হাট বসানো হয়। ব্যাপারীরা যখন হাতিয়া বাজারে যাওয়ার পথে সূবর্ণচরের ভূঁইয়ার হাট এলাকায় পৌঁছান, তখন একটি দল তাদের জোরপূর্বক গাড়ি থামিয়ে গরু নামিয়ে সেই স্থানেই বিক্রি করতে বাধ্য করে। এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং ইজারাকৃত বাজারে ব্যাপারীদের উপস্থিতি কমে যায়, ফলে বিপুল রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গরু ব্যাপারী নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়া বাজারে গরু বিক্রি করছি। কিন্তু আজ রাস্তার মধ্যে থামিয়ে অন্য হাটে যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষও ঘটতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ