নায়করাজ রাজ্জাক জন্মদিনে যেসব খাবার পছন্দ করতেন
Published: 23rd, January 2025 GMT
ঢাকার চলচ্চিত্রর নায়করাজ রাজ্জাকের ৮২তম জন্মদিন আজ।। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেঁচে থাকলে আজ ৮৩তম জন্মদিন পালন করতেন তিনি। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট নায়করাজ রাজ্জাক ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
জীবদ্দশায় জন্মদিনটিতে তাঁকে নিয়ে মেতে থাকত পরিবার। এ দিন তার পছন্দনের বাহারি পদের রান্না হত বাসায়। প্রয়াত এই কিংবদন্তি জন্মদিনে কি ধরণের পদ পছন্দ করতেন সে কথা বলেছেন তার ছোট ছেলে নায়ক সম্রাট।
সম্রাট বলেন, ' ষোলআনাই বাঙালি ছিলেন বাবা। বাঙালি খাবার সবসময় পছন্দ করতেন। ছোট মাছ প্রিয় ছিল। বেছে বেছে ছোট মাছ কেনা হতো। ঝোল করে টেংরা মাছের তরকারি ছিল ভীষণ প্রিয়। জন্মদিনের বিশেষ দিনে মা টেংরা মাছ ঝোল করে রান্না করতেন। সাদা ভাতের সঙ্গে টেংরা মাছের তরকারি দিয়ে বাবা তৃপ্তি করে খেতেন।'
'সবজি খিচুড়ি ছিল বাবার অসম্ভব পছন্দের। খুব তৃপ্তি পেতেন। পোলাও খেতেন না। সবসময় সাদা ভাত খেতেন। বাবার এই অভ্যাস আমার এক সন্তান পেয়েছে। এখন বাবা নেই, কিন্তু তার অভ্যাসটি আমার সন্তান ধরে রেখেছে,' বলেন সম্রাট।
'জন্মদিনে বাবা আমাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে খেতেন। কখনো বাইরে যেতেন আমাদের নিয়ে। সবাই আনন্দ করে খেতাম বাবার সঙ্গে। এখন সেসব দিনের কথা খুব মনে পড়ে। ২৩ জানুয়ারি এলে বারবার ফিরে যাই সেসসব দিনগুলোতে।'
'বাবার আরেকটি প্রিয় খাবারের কথা আজ বলি। আমের প্রতি ছিল বাবার অসম্ভব দুর্বলতা। মিষ্টি আম নিয়ে আসতেন বাজার ঘুরে। রমজানে সেহরি খাওয়ার সময় আম ছাড়া হতোই না। নানারকম আম নিয়ে এসে সবার সঙ্গে খেতেন,' বলেন তিনি।
সম্রাট বলেন, 'বাবার জন্মদিনে মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্না হতো। বাবা খেতেন না। আমরা খেতাম। জন্মদিনে অনেক কাছের মানুষরা আসতেন বাসায়। বাবা খুশি হতেন। সবার ভালোবাসা পেলে বাবার মন সত্যি সুন্দর থাকত।'
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি এখন প্রকৃত সৌদিকে চিনি’, নেইমারের হৃদয়স্পর্শী বার্তা
সৌদি আরব ছেড়ে ঘরে ফিরছেন নেইমার জুনিয়র। সান্তোসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করছেন তিনি। আল হিলালের সঙ্গে সমঝোতা করে চুক্তি বাতিল করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। সৌদি ছাড়ার আগে আল হিলাল, ক্লাবটির ভক্ত, সৌদি আরব ও দেশটির নতুন বন্ধুদের নিয়ে বার্তা দিয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা।
নেইমার জানিয়েছেন, এখন তিনি আসল সৌদিকে চেনেন। এছাড়া ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় তিনি লিখেছেন- সৌদি ফুটবলে নজর রাখবেন তিনি।
নেইমার লিখেছেন, ‘আল হিলালের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে এবং ভক্তদের ধন্যবাদ। আমি এখানে খেলার জন্য নিজের সবটা উজাড় করে চেষ্টা করেছি। আশা করেছিলাম, মাঠে উপভোগ্য সময় কাটাব। আমি ও আমার পরিবারকে নতুন একটি ঘর ও দারুণ অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি এখন প্রকৃত সৌদিকে চিনি এবং এখানে অনেকের সঙ্গে আমার আজীবনের বন্ধুত্ব হয়েছে।’
সৌদি ফুটবলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে জানিয়ে নেইমার লিখেছেন, ‘ফুটবলের প্রতি তোমাদের ভালোবাসা এবং আবেগ আমি সবসময় অনুভব করবো। ২০৩৪ বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমি ক্লাব ও দেশ হিসেবে সবসময় সৌদির ফুটবল অনুসরণ করবো। সৌদির জন্য দারুণ ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে, দারুণ কিছু ঘটতে যাচ্ছে। আমি সবসময় তোমাদের সমর্থন দিয়ে যাবো।’
নেইমার ২০২৩ সালে সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু গত দেড় বছরের অধিকাংশ সময় তিনি ইনজুরিতে ছিলেন। তার সঙ্গে আল হিলালের আরও ৬ মাসের চুক্তি ছিল। কিন্তু সৌদি লিগের জন্য তাকে নিবন্ধন করাননি আল হিলাল কোচ। যে কারণে চুক্তি বাতিল করে ব্রাজিলে শৈশবের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার।