‘ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার আগে, আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাই’
Published: 23rd, January 2025 GMT
বলিউডের বরেণ্য তারকা দম্পতি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন। এ দম্পতির দুই সন্তান। তারা হলেন— শ্বেতা বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। বাবা-মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক জানালেন, তারা তার কাছে ঈশ্বরের সমতুল্য।
নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিষেক বচ্চন। এ আলাপচারিতায় অভিষেক বচ্চন বলেন, “আমি ধার্মিক কিনা জানি না। সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমার সমীকরণ আছে। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার আগে, আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাই। আমার মনে হয়, তাদের উপরই আপনার প্রথম নির্ভর করা উচিত। আমার কাছে, তারা ঈশ্বরের সমতুল্য।
নিজেকে পরিবারমুখী মানুষ উল্লেখ করে অভিষেক বচ্চন বলেন, “আমি যা কিছু করি, তা আমার পরিবারের জন্যই করি। আমি খুব পরিবারমুখী মানুষ। আমি যা কিছু করি, আমার পরিবারের জন্যই করি; তারাই আমার প্রিয় মানুষ।”
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপরে হামলা নাকি অভিনয়, প্রশ্ন মন্ত্রীর
সেই অটোচালককে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সাইফ আলী খান
“স্নেহময়, সহায়ক, সুস্থ-সুখী একটি পরিবার মানে আপনি ভালো। আমার কাছে পরিবারের মতামত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” বলেন অভিষেক বচ্চন।
দাদা হরিবংশ রাইকে নিয়ে গর্বিত অভিষেক বচ্চন বলেন, “আমার দাদুর দেওয়া উপাধি নিয়ে আমি গর্বিত। কাজের জন্য তিনি যে ভালোবাসা-সম্মান দিয়েছেন, তার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য আমি কাজ করে যাব। আশা করি, আমার কন্যা এবং পরবর্তী জেনারেশন এটিকে সম্মান করবে।”
উত্তরাধিকার হিসেবে পদচিহ্ন রেখে যেতে চান অভিষেক বচ্চন। তার মতে, “আমার দাদা একজন কবি ছিলেন। আমার বাবা-মা অভিনয়শিল্পী। আমি এবং আমার স্ত্রীও অভিনয়শিল্পী। আমরা একটি সৃজনশীল উত্তরাধিকার। আমি যদি বাস্তবে কিছু রেখে যেতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় এটি পরিবারের জন্য মূল্যবান অবদান হবে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র র জন য পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’