খুলনায় ১২ কিলোমিটার ধাওয়া দিয়ে দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে, গত রাত পৌনে ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়ূর ব্রিজের পূর্ব পার্শ্বে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার বরকত উল্লাহর ছেলে রিয়াদ আলী (৩০) ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঢুলিগাতি এলাকার মৃত.

অ্যাকেন আলীর ছেলে শেখ সুমন ওরফে মিজান (৩৫)।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ একটি ট্রাক চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় ট্রাক থেকে রিয়াদ আলী লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। শেখ সুমন নামের অপরজন ট্রাক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। প্রায় ১২ কিলোমিটার ধাওয়া দিয়ে পুলিশ ট্রাকসহ শেখ সুমনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আটক ট্রাকটি সোনাডাঙ্গা থানায় জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া, দুই ডাকাতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ