রেকর্ড সংখ্যক অপরাধীকে ক্ষমা করলেও নিজেকে ক্ষমা করেননি বাইডেন: ট্রাম্প
Published: 23rd, January 2025 GMT
নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদকালে রেকর্ড সংখ্যক অপরাধীকে ক্ষমা করলেও নিজেকে ক্ষমা করেননি। সকালে ফক্স নিউজে প্রচারিত একটি রেকর্ডকৃত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এবং শন হ্যানিটি বাইডেনের ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, বাইডেন তার মেয়াদে বেশ কিছু আগাম ক্ষমা প্রদান করেছেন, যার মধ্যে তার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও রয়েছেন। এ বিষয়ে বাইডেন বলেছিলেন, যে তারা (পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা) হোয়াইট হাউসের নতুন প্রশাসনের দ্বারা অত্যাচারিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। খবর বিবিসির।
জো বাইডেনের ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, মজার বিষয়, অথবা দুঃখজনক বিষয় হলো, তিনি নিজেকে ক্ষমা করেননি।
তিনি আরও বলেন, বাইডেনের সময় অনেক মানুষ ক্ষমা ভিক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। ক্ষমার প্রয়োজন এমন আরও লোক ছিলো কিন্তু তাদের অনেককেই বাইডেন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
হ্যানিটি প্রশ্ন করেন, বাইডেনের এই আগাম ক্ষমাগুলো নিয়ে কংগ্রেসের কি কোনো তদন্ত শুরু করা উচিত কি না।
তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প কোনো উত্তর দেননি।
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি তার প্রথম মেয়াদের পরে নিজেকে কখনো ক্ষমা করেননি এবং তার পরিবারের সদস্যদেরও ক্ষমা প্রদান করেননি। তবে পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ২৩৭টি প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অহিংস অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৩৯ মার্কিন নাগরিককে প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে দেড় হাজার অপরাধীর সাজা কমিয়েছেন। হোয়াইট হাউস এই ক্ষমাকে ‘একদিনে সর্বোচ্চ ক্ষমা’র রেকর্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, অভিশংসনের ক্ষেত্র ছাড়া দেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য ক্ষমা ও ছাড় দেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের।
গত বছর বাইডেন তার ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করেন, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষমা করার একটি প্রবণতা তৈরি হলো। চলতি বছরের প্রথম দিকে বাইডেন আরেকটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি সামরিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে যৌন অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন র কর ড অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’