সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে। তার প্রশ্ন— ৫৪ বছরের সাইফের ওপরে হামলার ঘটনা সত্যি নাকি অভিনয়। পুনের একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে এমন সংশয় প্রকাশ করেন বিজেপির এই নেতা।

পাঁচদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ২১ জানুয়ারি বিকালে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। এ বিষয়ে নীতেশ রানে বলেন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যখন সাইফ আলী খানকে দেখলাম, তখন আমার সন্দেহ হয়েছিল আসলেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি কেবল অভিনয় করছেন।”

যখন কোনো খান সমস্যায় পড়েন তখনই কেন বিরোধী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন? এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সাইফ আলী খান, শাহরুখের পুত্র এবং এনসিপি নেতা নওয়াব মল্লিকের ব্যাপারে চিন্তিত সুপ্রিয়া সুলে। তিনি কি কখনো হিন্দু ধর্মের অনুসারী কোনো অভিনেতাকে নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন?”

আরো পড়ুন:

সেই অটোচালককে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সাইফ আলী খান

সাইফের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কে.

ডি. পাঠক’

গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। গত মঙ্গলবার বান্দ্রার বাসায় ফেরেন তিনি।

এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালত তাকে পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন শেহজাদ।

গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।” তবে পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর

পরকীয়ার সন্দেহে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীর ডান হাত কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা। 

স্বামী ফিরোজ মিয়া রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই ইউনিয়নের পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।

গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এদিকে স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তারা। এরপর সুযোগ বুঝে সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেন ফিরোজ মিয়া। এসময় স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন এবং জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ এসে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘চাচা হেনা কোথায়?’ –কোথা থেকে এলো এই কথা
  • বিশ্ব ইজতেমা শুরু, মুসল্লিতে পরিপূর্ণ তুরাগ তীর
  • চলন্ত ট্রাকে তরুণীকে ধর্ষণ: সেই চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
  • ফের মধুমিতা সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা
  • রংপুরকে হারের স্বাদ দিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা
  • জামিনে মুক্তির পর আবার গ্রেপ্তার সাবেক এমপি কালাম
  • ৬০ বছর ধরে গান নিয়েই আছি, গানেই আমার যত আনন্দ: সাবিনা ইয়াসমীন
  • ৬০ বছর গান নিয়েই আছি। গানেই আমার যত  আনন্দ: সাবিনা ইয়াসমীন
  • চাকরিজীবী নারীর ত্বকের যত্ন
  • স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর