হামাস-হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাফল্যে নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন
Published: 23rd, January 2025 GMT
হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাফল্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দুই দিন পর বুধবার টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন মার্কো রুবিও।
এ সময় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত থাকার কথা বলেছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুচ বলেছেন, ‘হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাফল্যের জন্য’ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানান রুবিও। তিনি এর পাশাপাশি গাজায় বন্দী থাকা বাকি সব জিম্মিকে মুক্ত করতে নিরলসভাবে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখা। নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
১৫ মাস যুদ্ধের পর গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গত রোববার থেকে ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতিতে জিম্মি মুক্তি এবং কারাবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা আছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র পরর ষ ট র ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’