চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ৩৬ দলের রবিন-রাউন্ড পদ্ধতির চ্যাম্পিয়নস লিগে ঠিক নিজেদের জাত চিনাতে পারছিল না রেকর্ড ১৫বারের শিরোপাধারীরা। নতুন পদ্ধতি অনুসারে সরাসরি শেষ ষোলতে জায়গা পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকু টিকিয়ে রাখতে, বুধবার দিবাগত রাতে (২২ জানুয়ারি, ২০২৫) সালজবুর্গের বিপক্ষে কেবল জিততেই হতো না, ব্যবধানটাও রাখতে হতো বড়। দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে সালজবুর্গকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ‘ইউরোপের রাজা’ রিয়াল।

ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিথী দল সালজবুর্গ প্রথম দশ মিনিট কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল রিয়ালের বুকে। মনে হচ্ছিল আবারের আসরে আরেকটি ম্যাচে হোঁচট খেতে যাচ্ছে মাদ্রিদের অভিজাতরা। তবে ক্লাবটা যখন রিয়াল তখন ইউরোপের প্রতিযোগিতায় প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখাটা তাদের জন্য ছেলে-খেলার মতই ব্যাপার। হলোও তাই।

ম্যাচের লাগাম বদলে ২৩ মিনিটে প্রথম গোল করে রিয়াল। ভিনিসিয়ুসের তৈরি করা কাউন্টার অ্যাটাকে গোলটি করেন রদ্রিগো। এই ব্রাজিলিয়ান রাইট উইঙ্গার ঠিক ১১ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বেলিংহ্যামের গোড়ালির পেছন থেকে ফ্লিক করা পাসে বাঁকানো শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

আরো পড়ুন:

কোয়ার্টার ফাইনালে লিগানেসকে পেল রিয়াল, ভ্যালেন্সিয়াকে বার্সা

এমবাপের জোড়া গোলে টেবিলের চূড়ায় রিয়াল

বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার ৩ মিনিটের মাথায় রিয়ালের তৃতীয় গোল করেন এমবাপে।ফরাসি তারকা গোলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর যখন সহজ জয়ের দিকে ছুটছে রিয়াল, তখন আরও দুটি করেন ভিনিসিয়ুস। ৫৫ ও ৭৭ মিনিটে গোল করেন ব্রাজিল তারকা। এতে ৫-০ তে এগিয়ে যায় রিয়াল। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে সলজবার্গের সান্ত্বনার একমাত্র গোলটি করেন বিডস্ট্রাফ।

রিয়ালের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্ষ করলেন ভিনিসিয়ুস। ‘লস ব্ল্যাঙ্কস’দের জার্সিতে এই ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজের ‘শততম’ গোলটি করেন।

এদিকে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা ভালো না করা রিয়াল এক পর্যায়ে ২২তম স্থানে নেমে গিয়েছিল। তবে সালজবুর্গের বিপক্ষে জিতে কার্লো আনচেলত্তির দল ৭ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে ১৬তম।

বর্তমান পরিসংখ্যানে পরের রাউন্ডে (প্লে-অফ) খেলা নিশ্চিত রিয়ালের। তবে সেরা ৮ দলের মধ্যে থাকতে হলে টুর্নামেন্টের বাকি এক ম্যাচে জিততেই হবে তাদেরকে। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে অন্যান্য দলের ম্যাচগুলোর দিকেও।

সেরা ৮ দল সরাসরি যাবে শেষ ষোলোতে। টেবিলের পরে ১৬টি দল থেকে ৮টি প্লে-অফের মাধ্যমে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিবে।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ