পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির ক্যাটাগরি উন্নীত হয়েছে। কোম্পানি তিনটি সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করায় ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

কোম্পানি তিনটি হচ্ছে- ফার কেমিক্যাল, ন্যাশনাল টিউবস এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে ফার কেমিক্যাল ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ন্যাশনাল টিউবস ৪ শতাংশ এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে কোম্পানিগুলো উল্লিখিত ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।

এর আগে, আলোচ্য তিন কোম্পানিসহ বেশকিছু কোম্পানিকে বিএসইসির নির্দেশনা মোতাবেক জেড ক্যাটাগরিতে পাঠায় ডিএসই। তবে গত রবিবার বিএসইসি এসব কোম্পানি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ৮০ শতাংশ বিতরণ সম্পন্ন করবে, সেসব কোম্পানিকে প্রযোজ্য ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের করবে স্টক এক্সচেঞ্জ। এর পেক্ষিতে কোম্পানি তিনটির ক্যাটাগরি উন্নীত করা হয়েছে।

তবে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এসব কোম্পানিগুলোকে ঋণ সুবিধা প্রদান না করতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই ও সিএসই।

ঢাকা/এনটি/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ