দিনাজপুরের হিলির বাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে। এতে দামও কমেছে। নাগালের মধ্যে চলে এসেছে আলুর দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে হিলি সবজি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহ আগে যে বেগুনের দাম ছিল ২৫ টাকা, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে, ৩০ টাকার শিম ১০ টাকা, ২০ টাকার ফুলকপি ৪ টাকা পিস, ২৫ টাকার বাঁধাকপি ৭ টাকা পিস, ২৫ টাকার আলু ১৪ টাকা কেজি, ৪০ টাকার গাজর ২৫ টাকা, ২৫ টাকার শসা ১৫ টাকা, ৩০ টাকার পেঁপে ২০ টাকা, ৫০ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ৪০ টাকার কাঁচামরিচ ২০ টাকা, ৩০ টাকার টমেটো ১০ টাকা ও ৫০ টাকার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা লুৎফর রহমান বলেন, ‘‘সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। আগে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার সবজি কিনলেও ব্যাগ ভর্তি হতো না। আজ ৫০ টাকার সবজিতে ব্যাগ ভরে গেছে।’’
সবজি ব্যবসায়ী বিপ্লব শেখ বলেন, ‘‘ফলন ভালো হওয়ায় আলু, শিম, বেগুনসহ সব ধরনের সবজির দাম কমে গেছে। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে সব সবজির দাম।’’
রফিকুল নামের এক কৃষক বলেন, ‘‘আমার তিন বিঘা জমি আছে। সারা বছর এই জমিতে ফসল ফলাই। কিছুদিন আগেও সবজির খুব ভালো দাম পেয়েছিলাম। কিন্তু, এখন দাম একেবারে পড়ে গেছে।’’
ঢাকা/মোসলেম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সবজ র দ ম ২০ ট ক ২৫ ট ক ৩০ ট ক র সবজ
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ