সহায়তার আশ্বাসে লাখ টাকা খোয়ালেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত যুবক
Published: 23rd, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হাসান ছিদ্দিক ওরফে মুরাদকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হাসান ছিদ্দিক ওরফে মুরাদ ফুলপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমুয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাই ফুলপুর এলাকায় তাঁর হাতে আঘাত পান। এরপর দুই মাস বেতন দেওয়ার পর তাঁকে চাকরিচ্যুত করে প্রতিষ্ঠান। এখন বাড়িতেই আছেন হাসান ছিদ্দিক।
জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁর মোবাইল ফোনে তিনটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। আন্দোলনে আহত হওয়ায় সরকারিভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে তাঁকে জানানো হয়।
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁর এটিএম কার্ডের দুই দিকের ছবি চান। সরল বিশ্বাসে তিনি সেই ছবি পাঠান। এরপর তারা একটি ওটিপি পাঠিয়ে একটি সংখ্যা দিয়ে গুণ করে জানাতে বলে। পরে সংখ্যাটি বলেন তিনি। এর পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে দেখেন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা নেই। যে ফোন নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল, সেই নম্বরগুলোও বন্ধ রয়েছে।
ফুলপুর থানার ওসি আবদুল হাদি বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধী চক্র দ্রুতই আইনের আওতায় আসবে। কেউ যেন এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত
এছাড়াও পড়ুন:
জুমে ভুয়া সাক্ষাৎকারের ফাঁদ
ভিডিও সম্মেলন বা সভা করার সফটওয়্যার জুমে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করছে ‘এলুসিভ কমেট’ নামের একটি সংঘবদ্ধ হ্যাকার গ্রুপ। জুমে ভুয়া সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে থাকা সংবেদনশীল তথ্য ও ডিজিটাল মুদ্রা চুরি করছে তারা। সম্প্রতি জুম ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা শনাক্ত করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেইল অব বিটস।
ট্রেইল অব বিটস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে হ্যাকাররা নিজেদের ‘ব্লুমবার্গ ক্রিপ্টো’র গবেষক বা সাংবাদিক পরিচয়ে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর এক্স (সাবেক টুইটার) বা ই-মেইলে ব্যবহারকারীদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য একটি লিংক পাঠায় হ্যাকাররা। পুরো যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি এতটাই পেশাদার ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয় যে সন্দেহ করার সুযোগ থাকে না বললেই চলে।
নির্ধারিত সময়ে জুম মিটিং শুরু হলে প্রতারকেরা স্ক্রিন শেয়ার সুবিধা চালু করে এবং রিমোট কন্ট্রোল প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুরোধ পাঠায়। এখানেই থাকে প্রতারণার মূল ফাঁদ। হ্যাকাররা জুমে নিজেদের নাম বদলে রাখে ‘জুম’। ফলে ভুক্তভোগীর স্ক্রিনে যে অনুমতির অনুরোধটি আসে, তাতে লেখা থাকে, ‘জুম ইজ রিকোয়েস্টিং রিমোট কন্ট্রোল অব ইউর স্ক্রিন’। এতে অনেকেই মনে করেন, এটি জুম কর্তৃপক্ষ পাঠিয়েছে। এর ফলে না বুঝেই অনুমতি দিয়ে দেন তারা।
আরও পড়ুনজুম সভায় স্ক্রিন শেয়ার করবেন যেভাবে০৫ নভেম্বর ২০২৩ট্রেইল অব বিটসের তথ্যমতে, একবার অনুমতি দিলে হ্যাকাররা পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। এরপর তারা সংবেদনশীল তথ্য চুরি, ডিজিটাল মুদ্রা সংগ্রহ বা দূর থেকে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করার মতো কাজ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তারা ‘ব্যাকডোর’ স্থাপন করে রাখে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেকোনো সময় দূর থেকে গোপনে যন্ত্রে প্রবেশ করা যায়।
আরও পড়ুনজুমে যুক্ত হচ্ছে নতুন এআই ফিচার, যে সুবিধা পাওয়া যাবে২১ মার্চ ২০২৫এই প্রতারণার সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো অনুমতির চাওয়ার বার্তাটি দেখতে জুমের সাধারণ নোটিফিকেশনের মতো। এর ফলে অনেকেই অনুমতি দিয়ে দেন, বুঝতে পারেন না যে তাঁরা আসলে হ্যাকারদের হাতে নিজের যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিচ্ছেন।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
আরও পড়ুনজুম মিটিংয়ে মাইক্রোফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ রাখবেন যেভাবে২৬ এপ্রিল ২০২২