কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে নদী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে মধ্যরাত থেকে এ নৌ-রুটে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসি নরসিংহপুর ফেরিঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক মো.

ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মাঝপথে কোনো ফেরি নোঙর করে রাখতে হয়নি। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হবে।”

তিনি আরো বলেন, “যানবাহন পারাপারের জন্য এই রুটে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি রয়েছে। এই রুটে যানবাহন কম চলায় বর্তমানে ফেরিগুলো যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করে।” 

জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।

ঢাকা/আকাশ/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ