বিশ্ব ফুটবল কর্তৃপক্ষের (ফিফা) প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন।

তিনি বলেন, “আগামী দুই মাসের মধ্যে আমি বাংলাদেশ সফরে যেতে চাই।” এছাড়া, সফরে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে অর্থায়নের আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভার ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সফরের খবরটি জানানো হয়েছে।

কার্বন নিরপেক্ষ ক্রীড়া বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইউনূসের ধারণার প্রশংসা করে ফিফা প্রধান বলেন, “ফিফা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ফুটবলের বিকাশে সহায়তা করবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি নারী ফুটবলারদের জন্য ডরমিটরি এবং অন্যান্য অবকাঠামো সুবিধা সহায়তা চাওয়ার পর সাড়া দিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, “ফিফা বাংলাদেশে নারী ফুটবলে অর্থায়ন করতে চায়।”

আমন্ত্রিত হয়েও চলমান যুব উৎসবে বাংলাদেশ সফরে যেতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে ইনফান্তিনো জানান, “সৌদি আরবে নারীদের ফুটবলেও ফিফা সহায়তা করবে এবং সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এ উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবেন।”

ফিফা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইনফ ন ত ন ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ