বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান কণ্ঠে তুলেছেন এই শিল্পী। সুরের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন অসংখ্য শ্রোতার হৃদয়। সময়ের সঙ্গে যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি তার সম্পদের পরিমাণও কম নয়।
চল্লিশের শ্রেয়া গানে নিয়মিত। তবে তাকে দিয়ে গান গাওয়াতে হলে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হয়। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম শ্রেয়া। কিন্তু একটি গানের জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন এই সংগীতশিল্পী?
ভারতীয় গণমাধ্যম ডিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শ্রেয়া ঘোষাল একটি গান গাওয়ার জন্য ২৫ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
গানের সঙ্গে শ্রেয়ার সখ্যতা মাত্র ৪ বছর বয়সে। ১৬ বছর বয়সে জি টিভির ‘সা রে গা মা পা’ গানের প্রতিযোগিতায় শিশুদের বিশেষ পর্বে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। এ শোয়ে দ্বিতীয়বার অংশ নিয়েই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় তার। কারণ এ শোয়ের সুবাদে চলচ্চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির নজরে পড়েন তিনি। ২০০০ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালি শ্রেয়াকে তার নির্মিত ‘দেবদাস’ সিনেমার গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন। পার্বতী চরিত্র রূপায়নকারী ঐশ্বরিয়া শ্রেয়ার গানে ঠোঁট মেলান। সিনেমাটির পাঁচটি গান গেয়েছিলেন শ্রেয়া।
‘দেবদাস’ সিনেমা মুক্তির পর শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া ‘বৈরী পিয়া’ আর ‘ডোলা রে’ শিরোনামের গানটি দর্শকদের মুখে মুখে ছিল। ‘দেবদাস’ সিনেমায় শ্রেয়ার গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পেছনে আরেকটি গল্প রয়েছে। রিয়েলিটি শো ‘সারে গা মা পা’ নিয়মিত দেখতেন সঞ্জয় লীলা বানসালির মা লীলা বানসালি। মূলত, পুত্র সঞ্জয় লীলাকে সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের কথা প্রথম বলেন লীলা বানসালি।
এরপর শ্রেয়া ঘোষালকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অসংখ্য সিনেমার গান কণ্ঠে তুলেছেন তিনি। শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ভারতের ইতিহাসে মাত্র ২৬ বছর বয়সে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া একমাত্র গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল।
যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থের মালিকও হয়েছেন ৪০ বছর বয়সি শ্রেয়া ঘোষাল। ম্যাশেবল ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, শ্রেয়া ঘোষাল বিভিন্ন ভাষার ৩ হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন। প্রতি বছর তার আয় ৩.
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।