যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে ৩০৮ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা ও শিশুধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার সাজার টম হোমান।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার হোমান বলেন, অভিবাসন কর্মকর্তারা ‘জননিরাপত্তার জন্য হুমকি’ সৃষ্টি করে এমন অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা শুরু করেছেন। এমন ৭ লাখ অভিবাসী সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইসিই তদন্ত কাজ শুরু করছে।

টম হোমান ঘোষণা করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে অভিবাসন অভিযান আবার শুরু করা হবে। যার মধ্যে স্যাংচুয়ারি শহরগুলোতেও অভিযান চালানো হবে।

আগের একটি সাক্ষাৎকারে দ্য পোস্ট-কে হোমান বলেছিলেন যে, স্যাংচুয়ারি শহর এবং রাজ্যের নেতাদের সহযোগিতা ছাড়াই, ফেডারেল এজেন্টরা অপেক্ষা করবে যতক্ষণ না অপরাধীরা জেল থেকে বের হয়। তার পর তারা তাদের আটক করবে।

হোমান আরও উল্লেখ করেছেন যে, আইসিই কর্মকর্তারা অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা অবৈধ অভিবাসীদের একটি ‘টার্গেট লিস্ট’ তৈরি করেছেন, যাদের তারা গ্রেপ্তার এবং নির্বাসিত করার পরিকল্পনা করছেন।

হোমান আইসিই সম্পর্কে বলেন, তারা এখন দেশজুড়ে গুরুতর জননিরাপত্তা হুমকির সন্ধানে রয়েছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এজেন্টদের অবৈধ অভিবাসীদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা তাদের সীমান্তে আটক ও নির্বাসন কার্যকর করতে বাধ্য করছে।

ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সীমান্তে অতিরিক্ত ১,৫০০ সক্রিয় দায়িত্ব পালনকারী সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন আইস ই

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ