যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়া তাকেশি। 

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বৈঠক হয়। খবর রয়টার্সের।

বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জোরদারে নিজেদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। এ অবাধ ও মুক্ত অঞ্চলে আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা সমুন্নত ও সুরক্ষিত থাকবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা, অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতের নিরাপত্তা জোরদার করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি এতদঞ্চলে গ্রহণযোগ্য ও স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। এ ছাড়া আগামী মাসগুলোতে কোয়াডের কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা বলেন, ভারতের আয়োজনে কোয়াড নেতাদের পরবর্তী শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি চলার প্রেক্ষাপটে তারা নিয়মিতভাবে সাক্ষাৎ করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র র পরর ষ ট রমন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ