ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর সন্তান প্রসব, বিপাকে পরিবার
Published: 23rd, January 2025 GMT
মির্জাপুরে ধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী সন্তান প্রসব করেছে। তবে সন্তানের পিতৃপরিচয় আদায় করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মহড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি ও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে টাঙ্গাইল নারী শিশু আদালতে মামলা করেছেন কিশোরীর বাবা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী তার দাদিকে খুঁজতে গ্রামের পুড়া পুকুর পাড়ে যাচ্ছিল। এ সময় আব্দুল রশিদ (৫৫) নামে একজন মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নেয়। তখন বাড়িতে রশিদ ছাড়া কেউ ছিল না। এই সুযোগে কিশোরীকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই কথা কাউকে বললে প্রাণে মারার হুমকি দেয় আব্দুর রশিদ। এরপর অনেকদিন কেটে গেলে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে বাড়ির লোকজন তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। পরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ভুক্তভোগীর স্বজন অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের সঙ্গে কথা বললে ওই কিশোরীকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়। তবে গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই মধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি। সন্তান প্রসবের পরও অভিযুক্ত রশিদ কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি আছে। তবে সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাঠায়।
গত ৫ জানুয়ারি কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু আদালতে অভিযোগ দেন। বাদী বলেন, ‘আমি দরিদ্র অসহায়। আমার কুমারী মেয়ে সন্তান প্রসব করেছে। এই সন্তান নিয়ে পাড়া প্রতিবেশী এবং এলাকার মানুষ নানা ধরনের কথা বলে। সন্তানের লালন-পালন করা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন। অতি কষ্টে আমরা শিুটির লালন-পালন করছি। আমার মেয়ের সর্বনাশকারীর উপযুক্ত বিচার চাই।’
মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিভাষ সরকার নুপুরের ভাষ্য, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দেননি। তবে এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’