গুলশানে দু’জনকে কুপিয়ে ‘কোটি টাকা’ ছিনতাই
Published: 23rd, January 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান-২ এ মঙ্গলবার রাতে ডিসিসি মার্কেটের সামনে দু’জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে কোটি টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন একটি মানি এক্সচেঞ্জের মালিক কাদের শিকদার ও তাঁর শ্যালক আমির হামজা।
কাদের শিকদারের ছোট ভাই মিন্টু শিকদার বলেন, বরুন বর্মণ মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কাদের শিকদার মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আমির হামজা। তারা কিছুদূর যেতেই ১৫/২০ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং রড দিয়ে আঘাত করে দু’জনকে ফেলে দেয়। হেলমেট ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত এবং কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের কাছে থাকা প্রায় কোটি টাকাসহ ব্যাগটি নিয়ে যায়। আহত দু’জনকে সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মিন্টু শিকদার আরও বলেন, ‘চার মাস আগে ইয়াসিন শিকদার নামে এক সন্ত্রাসী আমাকে অপহরণ করেছিল। সে সময় তারা ৭৯ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় কাদের শিকদার বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ইয়াসিন কারাগারে ছিল। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হলে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। ধারণা করছি, ইয়াসিনই লোকজন দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’