তাহিরপুর উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজারের বাঁধের অংশে মাটি ফেলা হলেও হচ্ছে না দুরমুশের কাজ। বৃহৎ এ ফসল রক্ষা বাঁধটি তিনটি প্রকল্পের আওতায় ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজার বাঁধ নাম দেওয়া হয়েছে।

গত বছর বোরো ফসল ওঠানোর পর পরই পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ছিলানি তাহিরপুর গ্রামের পাশের স্থায়ী বাঁধের একাংশ ভেঙে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সে অংশে বাঁধ নির্মাণের কাজ নির্ধারণ করে।

এ অংশে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতিরা হলেন, ছাবিতুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও সুহেল মিয়া। বাঁধের ভেতরে রয়েছে মাটিয়ান, বনুয়া ও পালই হাওরের প্রায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমি।

জনগুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিদিনই এখানকার নির্মাণকাজের তদারকি ও পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধে শুধু এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি ফেলানো হচ্ছে। সেই মাটি সঠিকভাবে বসানোর জন্য দুরমুশ বা ফিক্সিং করা হচ্ছে না। এতে করে নদীতে আগাম পানি এলে বাঁধটি হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাছাড়া বর্ষাকালে বাঁধের মাটি ধুয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার জানান, বাঁধের কাজ ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী মনির হোসেন জানান, নির্মাণকাজ ২৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাঁধের মাটি দুরমুশ করার ব্যাপারে তিনি জানান, আপাতত পানির ওপর মাটি ফেলে বাঁধটি সংযোগ করা হচ্ছে। পরে আরও অনেক কাজ রয়েছে। সে সময়ে মাটি দুরমুশ করা হবে।

ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজার বাঁধসংলগ্ন ছিলানি তাহিরপুর গ্রামের মাহমুদুর মিয়া জানান, বাঁধে এ পর্যন্ত ২০ ভাগ কাজ হয়েছে মাত্র। বাঁধে ফেলানো মাটিতে কোনো প্রকার দুরমুশ করা হচ্ছে না। এমনকি বাঁধ এলাকার কোনো অংশেই মাটি যথাযথভাবে বসানোর জন্য দুরমুশের কাজ দৃশ্যমান নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম জানান, উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ বিধায় তিনি এ বাঁধের কাজটিকে নিয়মিত পরিদর্শন ও নজরদারি করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

তালায় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে সাংবাদিককে দণ্ড, প্রতিবাদ

সাতক্ষীরার তালায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করার অভিযোগে এক সাংবাদিককে ১০ দিনের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল এ সাজা দেন। ওই সাংবাদিকের নাম কামরুজ্জামান ওরফে টিপু সুলতান।

তালা উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম জানান, তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের কাজ তদারকির সময় সাংবাদিক কামরুজ্জামান সেখানে আসেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁর (এম এম মামুন আলম) মুখে ঘুষি মারেন কামরুজ্জামান। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত শ্রমিক, আনসার সদস্য ও অন্যদের সাক্ষ্য গ্রাহণ শেষে সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে ১০ দিনের দণ্ডাদেশ দেন।

ইউএনও শেখ মো. রাসেল বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলমকে একজন সাংবাদিক মারধর করেছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত শ্রমিকদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই সাংবাদিককে ১০ দিনের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডাদেশের পর সাংবাদিক কামরুজ্জামান দাবি করেন, কাজের মান খারাপ হচ্ছে—এমন সংবাদ পেয়ে তিনি সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। তথ্য জানতে চাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম তথ্য না দিয়ে হাতে থাকা ছাতা দিয়ে তিনি মারতে শুরু করেন। এ সময় প্রতিরোধ করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

দণ্ডাদেশের পর সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান।

তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এম হাকিম, সাধারণ সম্পাদক জোয়াদ্দার ফারুক হোসেনসহ প্রেসক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, কামরুজ্জামানকে সাজা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। তথ্য না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই সাংবাদিককে মারধর করার পর সাজা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তালায় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে সাংবাদিককে দণ্ড, প্রতিবাদ
  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির চেষ্টা, কৃষক দল নেতা বহিষ্কার
  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই হাজার কেজি চাল জব্দ
  • এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে কারাদণ্ড