মার্চেন্ট ব্যাংক  জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট এর মূলধনি লোকসানে থাকা ২৭৫ জন গ্রাহকের কাছে মার্জিন ঋণ বাবদ পাবে ৩৯৫ কোটি টাকা। ঋণের বিপরীতে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে থাকা শেয়ারের বাজারমূল্য মাত্র ৩৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ফলে ঋণ আদায়ে সব শেয়ার বিক্রি করলে মার্চেন্ট ব্যাংকটির লোকসান হবে ৩৬১ কোটি টাকার বেশি।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইন্যান্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নিরীক্ষক এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। গতকাল বুধবার তা প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

পর্যবেক্ষণে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান আরও জানিয়েছে, বিপুল অঙ্কের লোকসানের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংকটি মাত্র ৬০ কোটি টাকা মূলধন সংরক্ষণ করেছে। এদিকে জিএসপি ফাইন্যান্সের অবস্থাও একই। একই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের পর্যবেক্ষণ হলো, ২০২৩ সাল পর্যন্ত এর মন্দ ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৭৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ৪৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার প্রভিশন রাখার দরকার ছিল। কিন্তু কোম্পানিটি ২৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রভিশন করেছে। প্রভিশন ঘাটতি ২২৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কোম্পানির সম্পদ মূল্য প্রভিশনিং এ ঘাটতি বিবেচনায় সমপরিমাণ কমিয়ে দেখানো উচিত বলে মত দিয়েছে নিরীক্ষক। 

শেয়ারবাজার সংক্ষেপ

টানা তিন দিনে প্রধান  সূচক ৬৮ পয়েন্ট বৃদ্ধির পর গতকাল বুধবার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। গতকাল এ বাজারে ৯২ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৪৫টিই দর হারিয়েছে এবং অপরিবর্তিত ছিল  ৫৭টির দর। খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কাগজ ও ছাপাখানা খাত ছাড়া বাকি সব খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট হারিয়েছে, নেমেছে ৫১৭৭ পয়েন্টে। আবার টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ ৮৬ কোটি টাকা কমে ৪১৩ কোটি টাকায় নেমেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে টানা দরপতনের পর কিছু শেয়ারের হঠাৎ করে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে। যদিও বেশির ভাগেরই পরে দরবৃদ্ধির ধারায় দেখা যায় না। গতকাল ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বঙ্গজ লিমিটেড। এ কোম্পানির দর ১০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১০৪ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। গত নভেম্বর থেকে শেয়ারটিকে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ঘুরপাক থেকে দেখা গেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিডি অটোকারের দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৯২ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। গেল নভেম্বর থেকে এ শেয়ারটিও ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে ওঠানামায় ছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ব পর ত জ এসপ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।

সিপিডির গবেষণা বলছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

আজ সোমবার সিপিডির কার্যালয়ে বাংলাদেশের উত্তরণে করপোরেট আয়কর সংস্কার বিষয়ক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সিপিডির গবেষণা বলছে, ২০১১ সাল থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ বেড়েছে, ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে তা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায় পৌঁছায়।

গবেষণায় বাংলাদেশের ক্রমাগত কর ফাঁকির পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ উঠে এসেছে। এর মধ্যে আছে উচ্চ কর হার, প্রশাসনিক দুর্বলতা, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক দুর্নীতি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে আদালতে জাপা প্রার্থী
  • পুঁজিবাজারে টানা দরপতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
  • বিমানবন্দরে ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলাটি পিবিআই থেকে দুদকে হস্তান্তর
  • মেধাস্বত্ত্ব ফিরে পেতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ সিনেমার প্রযোজকরা
  • পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত, বিক্ষোভের ডাক
  • পাঁচ বছর মেয়াদের নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
  • মাটি, পানি, খাবার থেকে দেহে ঢুকছে প্লাস্টিক
  • সিপিডির গবেষণা: ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি
  • পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন
  • ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি