ঠিকাদারির দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষে দুই দফা সংঘর্ষ
Published: 23rd, January 2025 GMT
নোয়াখালীতে ঠিকাদারির দ্বন্দ্বে বিএনপির এক পক্ষের ওপর দুই দফায় হামলা চালিয়েছেন অপর পক্ষের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে শহরের কাজী কলোনিতে প্রথম দফায় হামলা হয়।
এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশেও হামলা হয়। দুই দফার হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি মো.
আবদুল করিম মুক্তার ভাষ্য, ঠিকাদারি কাজের মাটির প্রয়োজনে সোমবার সকালে তাঁর লোকজন কাজী কলোনির একটি পুকুর সেচতে যায়। এ সময় পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসেরের অনুসারী ইনু, যুবদল নেতা জুয়েল, ছাত্রদলের ওয়াসিমসহ পাঁচ-ছয়জন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই ব্যক্তিরা চলে যান। তারা বিকেল ৩টার দিকে এসে সেচ মেশিনটি নিয়ে যান। তাদের সঙ্গে সমঝোতার পর মঙ্গলবার ওই সেচ মেশিনটি নিয়ে আসেন মুক্তা।
এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসেরের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জন লোক এক্সক্যাভেটর চালক ও মাটি বহনকারী পিকআপ চালককে মারধর করে ও ভাঙচুর চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে মুক্তার লোকজনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত তিনজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শুরুতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হামলায় মুক্তার অনুসারী রুবেল হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ও স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন মুক্তা।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন আবদুল করিম মুক্তা। তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় ৪০-৫০ জন যুবক এসে অতর্কিতে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা আত্মরক্ষায় প্রেস ক্লাবে ঢুকে পড়লে তাদের ওপরও ইটপাটকেল ছোড়া হয়। সংবাদ পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে আবদুল করিম মুক্তা মিথ্যাচার করছেন। যতটুকু শুনেছি, মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে হরিনারায়ণপুর মহল্লার ছেলেদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে।’
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনও শুনেছেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। এটি দলীয় কোনো ঘটনা নয় বলে মনে করেন তিনি।
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে বুধবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায়ও লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স স ঘর ষ এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ