নওগাঁর আত্রাইয়ে ধান রোপণ নিয়ে বিরোধের জেরে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় কৃষি শ্রমিক আবু বক্কর সিদ্দিককে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। 

নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের মালিপুকুর গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। তিনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। এ ঘটনায় তাঁর মা জমিলা বিবি বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই থানায় মামলা করেছেন।

মামলা থেকে জানা গেছে, আবু বক্কর সিদ্দিক কৃষি শ্রমিক হিসেবে মাঠে ধান রোপণের কাজ করতেন। একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামও তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন। গত সোমবার মাঠে ধান রোপণের সময় সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ঠিকমতো কাজ করছেন না। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা যে যার মতো বাড়ি চলে যান। সন্ধ্যায় আবু বক্কর চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় সিরাজুল এবং তাঁর শ্যালক ফরিদ উদ্দীন এসে আবার তাঁর সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আবু বক্কর সিদ্দিককে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে মারা যান সিদ্দিক। 

আবু বক্করের স্ত্রী বিউটি বিবি বলেন, ‘আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীর বিচার চাইছি।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।  
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।

আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।

আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ