প্রশাসনিক কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গতিবিধি পর্যবেক্ষণে আছে ৬২৪ সিসি ক্যামেরা। পিলে চমকানো তথ্য হলো, এসব ক্যামেরার মাত্র ৩৫টি এখন সচল। ৯৫টি অর্ধ-বিকল, বাদ বাকি ৪৯৪টি পুরোপুরি অচল। সচিবালয়ের তিন ফটকে আছে চারটি ব্যাগেজ স্ক্যানার। এর সব ক’টিই নষ্ট। এ ছাড়া ছয়টি আর্চওয়ের কোনোটাই কাজ করে না; সবই ‘মৃত’। খোদ সরকারি প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এমন ভয়ংকর ‘বিকল কাহিনি’। (সমকাল, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫) 

খবরে বলা হয়েছে, এসব বিকল যন্ত্রপাতি মেরামত করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যে কোনো নিরাপত্তার প্রশ্নে তো প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জরুরি তহবিল থাকার কথা। সেই অর্থ ব্যয় করেও তো সিসি টিভিগুলো মেরামত করা যেত বা রিপ্লেস করা যেত বা যায়। সে উদ্যোগ কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়েছে? 
আবার এত সিসি ক্যামেরা কি একসঙ্গে বিকল হয়ে পড়েছে? যদি তা হয়, তাহলে তার মানে এক রকম। যদি সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিকল হয়ে পড়ে, তাহলে অন্য কথা। তার মানে ঘটনাগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঘটেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই তা ঘটেছে। অথচ কাউকে আজ পর্যন্ত এ জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

চারটি ব্যাগেজ স্ক্যানার ও ৬টি আর্চওয়ে দীর্ঘকাল ধরেই অচল। আর্চওয়ে সচল না থাকায় কেউ যদি অবৈধ যন্ত্রপাতি, মারণাস্ত্র, পিস্তল-বন্দুক বা দেশি অস্ত্রসহ ঢোকে, তাহলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তারা তা ধরতে পারবেন না। তারা যদি নিরাপত্তার কাজ না-ই করতে পারেন, তাহলে তাদের ওই দায়িত্বে রাখা তো অর্থের অপচয় এবং নিরাপত্তার জন্য ভয়ংকর হুমকিস্বরূপ। অথচ জননিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা আরামে অফিস করছেন। 

গেল ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগে ষষ্ঠ থেকে নবম তলায় থাকা পাঁচ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর পুড়ে যায়। সরকারি ছুটির দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখনও জনমনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। এমন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে সচিবালয়ের নিরাপত্তার দুর্দশার চিত্র সামনে এলো। যদি এসব সিসি ক্যামেরা একসঙ্গে নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে এর সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বরের আগুনের কোনো যোগসূত্র উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওই অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত যতটুকু হয়েছে, তাতে অনেক প্রশ্নেরই জবাব মেলেনি। বিশেষ করে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্লোরগুলোতে পাওয়া সাদা পাউডারের উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। কলাপসিবল গেট বন্ধ থাকার পরও অষ্টম তলায় কুকুর কীভাবে গেল– সে প্রশ্নেরও কোনো সুরাহা হয়নি।

২.

বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যখন যোগ দেন তখন কি তিনি জননিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে কোনো উপাত্ত চেয়েছিলেন? সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি যে কিছুই জানতেন না, তা বোঝা গেল ওই অগ্নিকাণ্ডের পর। সিসি টিভি, আর্চওয়ে ও ব্যাগেজ স্ক্যানারগুলো সচল থাকলে কে বা কারা সাদা পাউডার নিয়ে এসেছিল, তাদের শনাক্ত করা তেমন দুরূহ হতো না। সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সম্ভবত এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ– কাকের মাংস কাকে খায় না। তাই তারা দোষীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে না। যদি সিসি টিভি ক্যামেরা চালু থাকত তাহলে সহজেই অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করা যেত।

এই গাফিলতির জন্য দায়ী কে বা কারা? সাদা চোখে মনে হবে দায়ী জননিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে জননিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি কেন– সেটিও এক প্রশ্ন। তারা কেন অর্থ ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করেছে বা করে চলেছে? 

এটি এক প্রকার গদাইলস্করি কাজ। ধরুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্ডার করেছে আইজিপিকে– ‘অমুক’কে আটক করো। আইজিপি সে অর্ডার সংশ্লিষ্ট এলাকার বা তাঁর সরাসরি অধস্তনকে বহন করতে আদেশ দিলেন। তিনি দিলেন তাঁর অধস্তনকে। সেই অধস্তন দিলেন তাঁর অধস্তন থানার ওসিকে। ওসি দিলেন কোনো এসআইকে। সেই এসআই তাঁর সোর্সকে পাঠালেন– যাও, তাকে বলো যে আমি তাকে আটক করতে আসছি। আসামি ভদ্রলোক, টাকা নিয়ে রেডি। এসআই টাকা নিয়ে ফিরে এলেন এবং জানিয়ে দিলেন– আসামি পলাতক; তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আদেশের জবাব গেল দু’তিন দিন পর। অন্যদিকে আসামি পুলিশেরই চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মনে রাখতে হবে, গত ১৬-১৭ বছর ধরে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আস্ফালন আইনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে নির্বাচন নামক ভোট চুরির উৎসবে প্রধান সাহায্যকারী ছিলেন ওই প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শীর্ষ থেকে উপজেলা পর্যন্ত প্রত্যেক আমলা বিগত সরকারের লুটপাটের সহযোগী, বেনিফিশিয়ারি। নানা কিসিমের তোফা তারা পেয়েছেন শেখ হাসিনার তরফ থেকে। তারা হাসিনাকেই চান। এ চাওয়ার পেছনে তাদের লাভকেই দেখছেন বড় করে। দেশ ও দেশের মানুষের সেবক না হয়ে ব্রিটিশ বেনিয়াদের মতো প্রভুসুলভ লুটপাট যারা চালিয়েছেন, তারা তো ফ্যাসিবাদীদেরই দোসর হওয়ার কথা। তারাই যে সচিবালয়ের নথি পোড়াতে নিজেদের লেজুড় কর্মকর্তা বা কর্মকর্তাদের কাজে লাগাননি– সেটিই বা কে বলতে পারে!

এত বড় অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে এর হোতাদের কি ধরতে পেরেছে সরকার? সরকার মানে তো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকেই বোঝায়। তাঁরই নিয়ন্ত্রণে জননিরাপত্তা বিভাগ। সেই বিভাগের কর্মকর্তারা সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন থেকে এ দায়িত্বহীন কাজ করলেন, তা অপরাধের শামিল। যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করাই হবে প্রধান কাজ। শুধু সচিবালয়ের গেটে কড়াকড়ি করলেই যদি জননিরাপত্তা রক্ষিত হতো তাহলে সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও ব্যাগেজ স্ক্যানার বসানোর দরকার হতো না।

ড. মাহবুব হাসান: সাংবাদিক

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘আমরা জমিদার’ বলা সেই কর্মকর্তার পদোন্নতির আবেদন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০০৬ সালের জুলাইয়ে। তখন পদ ছিল নিম্নমান সহকারী, অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। এরপর পদোন্নতি পেয়ে ২০২২ সালে হন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। এখন সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেতে আবেদন করেছেন তিনি।

পদোন্নতির জন্য আবেদন করা ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তিনি। সিরাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-বায়েজিদ আংশিক) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে জামায়াত।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সিরাজুল ইসলাম হাটহাজারী উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার শুরা সদস্য। তিনি ১৯৯৪ সালে ডিপ্লোমা, ১৯৯৬ সালে স্নাতক (বিএ) আর ২০১৭ সালে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাস করেন। তবে তিনি নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম নামে পরিচয় দিতেন। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচির প্রচারপত্রেও তিনি এ নাম লিখতেন। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর পদোন্নতির সাক্ষাৎকার হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সাক্ষাৎকারের পর তিনি সেকশন অফিসার (নবম গ্রেড) পদ থেকে সহকারী রেজিস্ট্রার (ষষ্ঠ গ্রেড) পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। তবে এ পদোন্নতির বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত হবে।

অবশ্য শুধু সিরাজুল ইসলাম নয়। তাঁর মতো আরও অন্তত ৫০ জন পদোন্নতির সাক্ষাৎকারে ডাক পেয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পদোন্নতিতে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার বলে অভিযোগ তাঁদের। এসব পদের মধ্যে রয়েছে নিম্নমান সহকারী থেকে উচ্চমান সহাকরী, উচ্চমান সহকারী থেকে সেকশন অফিসার ও সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার। যদিও সিরাজুল ইসলাম ২০১০, ২০১৩ ও ২০২২ সালে মোট তিনবার পদোন্নতি পেয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ ও ৩১ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, তৎকালীন প্রক্টরসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের মতবিনিময় সভা হয়। এ সভায় সিরাজুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’

সিরাজুল ইসলামের এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। ওই দিন রাতেই গোলচত্বর, ছাত্রদের আবাসিক এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ প্রতিক্রিয়ার পর তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি তাঁকে উপজেলা আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাঁকে শোকজ করে।

নথিপত্রে দেখা যায়, চলতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬৪তম সিন্ডিকেট সভায় বৈষম্যর শিকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে কমিটি হয়। এ কমিটি ৫ নভেম্বর উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় কে কে পদোন্নতি পেতে পারেন, তা চূড়ান্ত করে। মূলত তাঁদের পদোন্নতির সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়েছে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার এ সাক্ষাৎকার হওয়ার কথা ছিল। তবে সাক্ষাৎকারের তারিখ পিছিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার করা হয়।

জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি পদোন্নতিতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। পাঁচবার সাক্ষাৎকার দিয়ে ষষ্ঠবারে তিনি পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এ কারণে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতির আবেদন করেছেন। নিয়ম মেনেই তিনি সাক্ষাৎকার দেবেন। তিনি সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শোকজের জবাব দিয়েছেন। তাঁর দল থেকেও ওই ঘটনার পর তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন‘আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর হস্তক্ষেপ মেনে নেব না,’ বললেন জামায়াত নেতা০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫যা বলছে প্রশাসন

পদোন্নতির নথিতে দেখা যায়, সেকশন অফিসার থেকে সহকারী রেজিস্ট্রারে পদোন্নতিতে সিরাজুল ইসলামসহ চারজনের নাম রয়েছে। তাঁদের সাক্ষাৎকার নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মু. জাফর উল্লাহ তালুকদার।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। তিনি সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পদোন্নতির সাক্ষাৎকারে ডাকা মানেই পদোন্নতি দেওয়া নয়। পদোন্নতির বিষয়ে কোনো তদবিরও নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারও তদবিরের তোয়াক্কা করে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ