কারখানার ভেতরে চোর প্রবেশ করেছে এমন খবরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) ভেতরে। এতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।
ইপিজেড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবসার উদ্দিন রুবেল জানান, একটি নির্মাণাধীন কারখানার মধ্যে তিনজন শিশু ঢুকে পড়ার খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নির্মাণ শ্রমিকরা চোর ভেবে তাদের মারধরও করে। নৌবাহিনীর টহল গাড়ি নির্মাণ শ্রমিকদের বাঁচাতে গেলে উল্টো তারা নৌবাহিনীর গাড়ি আটকিয়ে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাবের বাড়তি সদস্য রয়েছেন। হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।