চট্টগ্রামে জঙ্গলে পোড়ানো নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
Published: 22nd, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল পেয়ে জঙ্গলে পুড়ানো অজ্ঞাত (১৯) অর্ধগলিত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ছড়ারকুল বালুরটাল এলাকার রেললাইন থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলে পড়ে থাকা লাশটি উদ্ধার করা হয়।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গলে পুড়ানো অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ দেখে স্থানীয়রা সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দেয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এসআই উনোমং মারমা ও মোবারক জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছি। তবে পরিচয় পাওয়া যায়নি। নারীকে এমনভাবে পুড়েছে তার চেহেরাটাও বুঝা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ২ থেকে ৩ দিন আগে হয়তো তাকে আগুনে পুড়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ