চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল পেয়ে জঙ্গলে পুড়ানো অজ্ঞাত (১৯) অর্ধগলিত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ছড়ারকুল বালুরটাল এলাকার রেললাইন থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলে পড়ে থাকা লাশটি উদ্ধার করা হয়।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গলে পুড়ানো অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ দেখে স্থানীয়রা সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দেয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এসআই উনোমং মারমা ও মোবারক জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছি। তবে পরিচয় পাওয়া যায়নি। নারীকে এমনভাবে পুড়েছে তার চেহেরাটাও বুঝা সম্ভব নয়। 
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ২ থেকে ৩ দিন আগে হয়তো তাকে আগুনে পুড়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ